কষ্টদায়ক এক স্বাস্থ্য সমস্যা হাঁপানি। চিকিৎসকদের ভাষায় যাকে অ্যাজমা বলে। মূলত শ্বাসনালীর অসুখ এটি। কোনো কারণে যদি শ্বাসনালী সংবেদনশীল হয়ে পড়ে তখন বাতাস চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি হয় এবং প্রশ্বাস নিতে এবং নিঃশ্বাস ছাড়তে অসুবিধা হয়। এই বিষয়টিকেই হাঁপানি বলা হয়।
হাঁপানি বা অ্যাজমা কেন হয়?
বিজ্ঞাপন
বেশিরভাগ সময়ে জেনেটিক কারণে হাঁপানি রোগ হতে পারে। এছাড়া ধুলোবালি, জীবজন্তুর লোম, পাখির পালক, ফুলের রেণু, ছত্রাক ইত্যাদিও এই রোগের কারণ হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে আইসক্রিম বা অন্যান্য ঠান্ডা পানীয় থেকেও অ্যাজমার সৃষ্টি হয়।

হাঁপানির উপসর্গ
হাঁপানি হলে মূলত নিঃশ্বাসে সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়াও যেসব উপসর্গ দেখা দেয় তা হলো-
বিজ্ঞাপন
- বুক ভার হয়ে থাকা
- দম বন্ধ হয়ে আসা
- ঘন ঘন কাশি
- বুকের মধ্যে শব্দ হওয়া

হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায়
হাঁপানি থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায় না। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-
ঘর বাড়ি পরিষ্কার রাখুন
আপনি যদি একজন হাঁপানি রোগী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখুন। বাড়ির প্রতিটি জিনিস রোজ পরিষ্কার করুন যেন কোথাও ধুলা না জমে। পাখা অথবা এসির ব্লেড গুলি প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি রান্নাঘরের চিমনি, ডাস্টবিন সবসময় পরিষ্কার রাখুন।

আরেকটি বিষয় মনে রাখবেন, বাড়ির মধ্যে ধূমপান করলে তা প্রিয়জনের হাঁপানি বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রয়োজনে বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়েড ব্যবহার করতে পারেন, যা ঘরে দূষিত বাতাস বের করে দেবে এবং হাঁপানির রোগকে দূরে রাখবে।
ধুলাবালি থেকে দূরে থাকুন
বাড়ি থেকে বের হলেই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন হাঁপানি রোগীরা। বায়ু দূষণ এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই বাইরে বের হলেই মুখে মাস্ক পরে নিন। চিকিৎসকদের মতে, যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে তাদের ভোরবেলা কিংবা দুপুরে বাইরের কাজকর্ম সেরে ফেলা উচিত। এসময় রাস্তাঘাটে ধুলো ময়লা এবং দূষণ কম থাকে।

পশুপাখি থেকে দূরে থাকুন
অনেকেই পশু বা পাখি পুষতে ভালোবাসেন। তবে হাঁপানি সমস্যা থাকলে এই ইচ্ছেকে কিছুটা লাগাম দিতেই হবে। পশু-পাখি বিশেষত কুকুর, বিড়াল, পাখিদের থেকে দূরে থাকুন। কারণ এসব প্রাণীর লোম আর পালক শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
বাড়িতে কোনো পোষ্য থাকলে খেয়াল রাখতে হবে বাড়িতে যেন যত্রতত্র লোম না পড়ে থাকে। এছাড়া আরশোলা, ছারপোকার উপদ্রব থাকলে বাড়িতে পেস্ট কন্ট্রোল করান। বাড়িকে কীটপতঙ্গ মুক্ত রাখুন।
এনএম

