শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘একলা বাবা’র পদে পদে বিড়ম্বনা 

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২২, ১০:০০ এএম

শেয়ার করুন:

‘একলা বাবা’র পদে পদে বিড়ম্বনা 

সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তাকে বড় করে তুলতে মা-বাবা দুজনেই কঠিন পরিশ্রম করে থাকেন। কারণ, সন্তান লালনপালন করা মোটেও সহজ নয়। নানা কারণে দাম্পত্যে ভাঙনের সৃষ্টি হতে পারে। স্বামী, স্ত্রী দুজন আলাদা হয়ে যেতে পারেন। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর এমনটা হলে সবচে বেশি সমস্যায় পড়ে শিশুটি। সন্তান বাবার কাছে থাকলে তাকেও পার করতে হয় কঠিন যাত্রাপথ। 

মা বিহীন শিশুকে একজন একলা বাবা বা সিঙ্গেল ফাদারের পক্ষে লালন-পালন করা বেশ কষ্টের। তার ওপর সমাজের তির্যক দৃষ্টি তো রয়েছেই। টিপ্পনী কেটে কথা বলতে বাদ থাকেন না কাছের মানুষজনও। সিঙ্গেল ফাদারদের একটু বেশিই সমালোচনা সহ্য করতে হয়। তাদের যেন ব্যক্তিগত কোনো অনুভূতি নেই। পদে পদে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় একলা বাবাদের। 


বিজ্ঞাপন


fatherদায়িত্ব সামলানো 

সন্তানকে একা মানুষ করেন একজন সিঙ্গেল ফাদার। বিচ্ছেদের কারণ যাই হোক, ধরেই নেওয়া হয় সমস্যা তার মধ্যেই। যার কারণে স্ত্রী তাকে ছেড়ে গেছেন। সন্তানকে মানুষ করতে নিজের সর্বোচ্চ দিলেও কানাঘুষা শুনতে হয় প্রতিনিয়ত। 

fatherবাচ্চার স্কুলে সমস্যা 

যেহেতু সন্তানকে একা সামলান তাই তাকে স্কুলের আনা-নেওয়ার কাজটি বাবাই করে থাকেন। কিন্তু অন্য অভিভাবকরা যেন একজন সিঙ্গেল ফাদারের উপস্থিতি মোটেও স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেন না। তার সঙ্গে সাবলীল আচরণ দেখানো তো দূরে থাক, ভদ্রতা দেখানোরও প্রয়োজন মনে করেন না। একই বিষয় ঘটে তার সন্তানের ক্ষেত্রেও। 


বিজ্ঞাপন


fatherবাৎসল্যেও সমস্যা 

শিশুর সঙ্গে শিশুর মতো আচরণ করলে একলা বাবাকে কথা শুনতে হয়। রাগীভাব দেখালে তার গায়ে দায়িত্বজ্ঞানহীনের ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়। আবার শিশুর সঙ্গে হেসে খেলে বন্ধুর মতো সময় কাটালেও বলা হয়, সন্তানকে শাসন করতে জানেন না। সিঙ্গেল ফাদারের পদে পদেই দোষ।

fatherব্যক্তিগত জীবনের ইতি 

বন্ধুদের সঙ্গে ট্যুর কিংবা সপ্তাহের শেষে লেট নাইট পার্টি- এসব কিছুই সিঙ্গেল ফাদারের করা হয় না। তার ব্যক্তিগত জীবনের ইতি ঘটাতে হয় সন্তানের জন্য। সন্তানের স্কুল, পড়াশোনা, ভালো-মন্দ সবকিছু নিয়েই একলা বাবার নতুন জীবন রুটিন সৃষ্টি হয়। 

fatherযেন মন খারাপ হতে নেই

একজন সিঙ্গেল ফাদার একা ঘর, কর্মক্ষেত্র, সন্তান সামলান। এতকিছুর পর কখনো কখনো ক্লান্তি লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু এতেও সমস্যা। একলা বাবার যেন মন খারাপ হতে নেই। তার মানসিক ওঠাপড়া কেউ বুঝতে চেষ্টাও করে না। বরং বিচ্ছেদের পর অনেক আপনজনই যেন নিজেদের দূরে সরিয়ে নেন। একাকীত্ব আর একা সন্তান সামলাতে গিয়ে একজন বাবা তখন হয়ে পড়েন প্রচণ্ড অসহায়। 

এত সমালোচনার পরও একজন সিঙ্গেল ফাদার খেটে যান সন্তানকে মানুষ করতে। সমাজের সব কটু কথা, বাজে পরিস্থিতি আর বঞ্চনা মাথা পেতে গ্রহণ করেন। এসবের কিছুর আঁচই লাগতে দেন না সন্তান বা সন্তানদের গায়ে। কারণ, দিনশেষে তিনিই বাবা, তিনিই মা। 

এনএম 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর