বৃষ্টির দিনে সুগন্ধ ছড়ানো মুগডালের ভুনা খিচুড়ি আর ইলিশ ভাজা। কি, ভাবতে জিভে জল চলে এলো? বাঙালির প্রিয় খাবার তালিকায় থাকা অন্যতম একটি খাবার মুগডালের ভুনা খিচুড়ি। এই ডাল দিয়ে মুড়ি ঘণ্ট, ভুনার মতো হরেক পদ রান্না করা যায়। চলুন মুগডালের কিছু রেসিপি জেনে নিই-
আমিষ, নিরামিষ দুইভাবেই মুগডাল খাওয়া যায়। এর স্বাস্থ্যগুণও কম নয়। মুগডালে আছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস। এটি প্রোটিনের দারুণ উৎস। নিরামিষাশীরা উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের ভাণ্ডার হিসেবে খেতে পারেন মুগ ডাল।
বিজ্ঞাপন

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
যেহেতু এই ডালে প্রচুর প্রোটিন আর ফাইবার রয়েছে, তাই মুগডাল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে।
সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করে
শরীরে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করে মুগডাল। এই ডাল খেলে ক্রনিক অসুখ, হিটস্ট্রোক, স্থূলতা, ব্লাড সুগার, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বিজ্ঞাপন

রক্তশূন্যতা কমায়
মুগডালে আছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি-র মতো প্রয়োজনীয় বেশ কিছু খনিজ। শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং কায়িক পরিশ্রম করতে সাহায্য করে এটি। মুগডালের মধ্যে থাকা আয়রন রক্তাল্পতা নিরাময়ে সাহায্য করে।
ত্বকের জেল্লা বাড়ায়
সুগন্ধি এই ডাল ত্বকে জেল্লা বজায় রাখে। মুগডালে ভিটামিন সি এবং ই। এই দুই ভিটামিনই ফ্রি র্যাডিক্যাল এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ফলে ত্বক হয় প্রাণবন্ত।

মুগডালের উপকারিতা তো জানলেন। কিন্তু এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। কিছু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মুগডাল না খাওয়াই ভালো। চলুন এর কিছু খারাপ দিক জেনে নিই-
পেটের সমস্যা
ঠিকমতো রান্না করা না হলে মুগডাল ঘুম ঘুম ভাব, ঝিমুনির কারণ হতে পারে। পেটের রোগে ভুগছেন, এমন ব্যক্তিদের এই ডাল না খাওয়াই ভালো।
গ্যাস্ট্রিক
ভালো করে রান্না করা না হলে মুগডাল থেকে অ্যাসিডিটি, গ্যাস, বুক জ্বলার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি পেটে ফাঁপারও কারণ হতে পারে।

শ্বাসকষ্ট
ত্বকে সংক্রমণ থেকে শুরু করে শ্বাসকষ্টের কারণও হতে পার মুগডাল। অতিরিক্ত ফাইবার থাকায় এই ডাল খেলে পেটে গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে। ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন এড়াতে অন্তঃসত্ত্বাদেরও মুগডাল না খাওয়াই ভালো।
যেসব রোগ থাকলে মুগডাল খাবেন না
যারা হাই ইউরিক অ্যাসিড, লো ব্লাড সুগার, লো ব্লাড প্রেশার, কিডনি স্টোন, হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তারা মুগডাল যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এই ডাল আপনার সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

মুগডালের অ্যান্টি নিউট্রিয়েন্ট ও ফাইটোস্টেরলস উপাদান শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই অতিরিক্ত মুগডাল খাবেন না। তাছাড়া মাঝেমধ্যে শখ করে পরিমিত পরিমাণে এই ডাল খেতে মানা নেই।
এনএম

