কর্মক্ষেত্রে সব কর্মীই নিজের সেরাটা দিতে চান। কিন্তু একটানা কাজ করতে করতে দেখা দেয় একঘেয়েমি। ফলে কমে যায় কাজের গতি। গবেষণা বলছে, টানা কাজের ফাঁকে কয়েকদিনের ছুটি নিলে মন ভালো থাকে। এতে কাজের গতিও বাড়ে। কিন্তু ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ সবসময় মেলে না। কিছু কৌশল কাজে লাগিয়ে কর্মক্ষেত্রে কাজের গতি বাড়াতে পারেন।
অফিসের কাজ অফিসেই
বিজ্ঞাপন
অনেকেই অফিস থেকে ফিরে বাড়িতেও অফিসের কাজ নিয়ে বসেন। এ কাজটি একদমই করবেন না। অফিসের কাজ অফিসেই শেষ করুন। অবসর সময়ে অফিসের কাজ করলে পরিবারকে ঠিকমতো সময় দেওয়া হয় না। কাজও সঠিকভাবে করা যায় না। এমনকি জরুরি কাজে ভুলও হতে পারে।
ঘুমাতে হবে পরিমিত
সুস্থ জীবনযাপনের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কাজের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন। নাহয় অফিসে ঘুম ঘুম ভাব হবে। ক্লান্তি লাগবে। ফলে, কমে যাবে কাজের গতি। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে চেষ্টা করুন। অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আলাদা সময়
বিজ্ঞাপন
অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখুন। ধরুন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত আমি সচে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেন। এ সময় কোনো কাজ বা অন্য কারোও সঙ্গে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। এতে কম সময়ে কাজ করা হবে। গতি বাড়বে।
আগেই প্ল্যান করুন
পরের দিনের কাজ কী কী তা আগের রাতেই প্ল্যান করে নিন। এতে সময় বাঁচবে। কাজের গতিও বাড়বে।
একটু হাঁটাহাঁটি
একটাকা অনেকক্ষণ বসে কাজ করে একঘেয়েমি সৃষ্টি হয়। শরীরের জন্যও এটি ক্ষতিকর। তাই, প্রতি ঘণ্টা পরপর ৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। এতে দেহের পেশী সচল থাকবে। মনও ভালো হবে। কর্মদক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে এটি।
তুলনা চলবে না
অন্যদের সঙ্গে কখনো নিজের কাজের তুলনা করবেন না। প্রত্যেকের দক্ষতা ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে স্বাস্থ্যকর কম্পিটিশন থাকা ভালো। এতে কাজের গতি আসে।
এসবের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে কাজের গতি বাড়াতে অভিজ্ঞদের কাজ থেকে পরামর্শ। সিনিয়র সহকর্মীর সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখুন। সবার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করুন। এতে মন ভালো থাকবে। কাজের গতি বাড়বে।
এনএম