শীতে ঠোঁট হাইড্রেট রাখতে এবং এর কোমলতা বজায় রাখতে লিপবাম ব্যবহার করা হয়। অনেকে ভাবেন, গরমে এটি ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই। এই ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। শীতের মতো গ্রীষ্মেও ঠোঁটের যত্ন নেওয়া জরুরি।
গ্রীষ্মের সময় সূর্যের রশ্মি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠোঁট তীব্র তাপ, সূর্যের এক্সপোজার এবং সেই সঙ্গে পুরো ঋতু জুড়ে বইতে থাকা গরম বাতাসের জন্য আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। এজন্য নিশ্চিতভাবে গ্রীষ্মের মরসুমেও লিপবাম ব্যবহার করতে হবে। গ্রীষ্মে লিপবাম ব্যবহার করলে কী ক্ষতি হতে পারে জানুন-
বিজ্ঞাপন

গরম বাতাস আটকায়
তীব্র গরমের মরসুমে বাতাস কখনো গরম আবার কখনো খুব শুষ্কও থাকে। এক্ষেত্রে লিপবাম কিন্তু বেশ কার্যকরী। এটি বাতাসের যেকোনো ধরণের শুষ্ক প্রভাব থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করে।
বার্ধক্যের লক্ষণ রোধ করে
বিজ্ঞাপন
ঠোঁট ও ত্বক যে সুরক্ষিত আছে তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। লিপবাম ব্যবহার না করলে গ্রীষ্মে ঠোঁটে বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

ঠোঁটের জ্বালা কমায়
গ্রীষ্মের ঋতুতে, তীব্র তাপমাত্রা কোমল ঠোঁটে জ্বালাভাবের কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে লিপবাম ব্যবহারে জ্বালাভাব ও অযথা ট্যান পড়া দূর হবে।
হাইড্রেশন শরে রাখে
গরমের তাপ ও আর্দ্রতার কারণে, গ্রীষ্মে ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে। গ্রীষ্মকালে লিপবাম ব্যবহার করলে ঠোঁটের আর্দ্রতা ঠিক থাকবে। এটি যেকোনো ধরনের শুষ্কতা প্রতিরোধ করবে।

রোদে পোড়াভাব দূর করে
গরমে লিপবাম ব্যবহারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলোর একটি হলো ঠোঁটকে সূর্যের উত্তাপ থেকে রক্ষা করা। তাই, ত্বকে সানস্ক্রিনের পাশাপাশি SPF আছে এমন লিপবাম ব্যবহার করা জরুরি। তাহলে ঠোঁটে রোদে পোড়া বা দীর্ঘমেয়াদি কোনো ক্ষতি হবে না।
গ্রীষ্মে কেমন লিপবাম ব্যবহার করবেন?
এসময় এমন কিছু লিপবাম ব্যবহার করুন, যেগুলো ন্যাচারাল তেলের পাশাপাশি ভিটামিন ই এর মতো উপাদান দিয়ে বানানো হয়। এতে ঠোঁট কোমল থাকার পাশাপাশি যেকোনো রকমের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
তবে হাত দিয়ে লিপবাম ব্যবহার করা উচিত নয়। কেননা হাতে অনেক ময়লা থাকে। ঠোঁটে লাগানোর জন্য স্টিক আকৃতির লিপবাম ব্যবহার করুন। হালকা লিপবাম এসময়ের জন্য উপযুক্ত।
এনএম

