ভ্রমণপিপাসু আমরা তিন বন্ধু, আমি সম্পদ আর আমার দুই বন্ধু নওশীন ও রামিম। আমাদের একসঙ্গে ঘোরাফিরা শুরু এখন না, অনেক আগে থেকেই। বলতে গেলে আমাদের প্রথম ভ্রমণ ছিলো রোমাঞ্চকর খৈইয়াছড়া ঝর্ণা ভ্রমণ। এরপর একে একে আমরা সেন্টমার্টিন,বান্দরবান ঘুরে আসলাম।
মানচিত্রের বাইরে এই প্রথম তিনজন একসঙ্গে পা রাখলাম এবং ঘুরে আসলাম ভারতের হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত পার্বত্য সীমান্ত রাজ্য সিকিম।
বিজ্ঞাপন
শৈলশহর,পাহাড়ি ঝর্ণা,নদী,গভীর উপত্যকা,আলপাইন চারণভূমি,হিমবাহ,সবুজে আচ্ছাদিত পাহাড়, হাজারো বুনোফুলে ভরা সৌন্দর্যমন্ডিত সিকিম রাজ্য।
সিকিমের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আমাদের মতো হাজারো বাংলাদেশি প্রতিবছর ঘুরতে যান ভারতের এই রাজ্যে।
আমাদের ভ্রমণের পরিকল্পনা কখন কীভাবে হয়েছে সে বিষয়ে প্রথমে বলি। আমি আজ থেকে ৩-৪ মাস আগেই ঠিক করেছিলাম যে ভারতের যেকোনো একটা রাজ্য ঘুরতে যাব। কেননা, এই সময়টা আমার সেমিস্টার ব্রেক থাকবে, আর এই সময়টা একটু প্রকৃতির সন্নিকটে থেকে কাটাতে চেয়েছিলাম।
বিজ্ঞাপন
একদিন রাতের বেলা বিমুকে আমি ইনস্টাগ্রামে নক দিয়েছিলাম ওর কী খবর জানতে। কথায় কথায় জানা গেল ও নাকি ভারতে ঘুরতে যাবে। সঙ্গে নওশীন ও যাবে। তাকে জিজ্ঞেস করলাম কখন যাবি তোরা? ওর সময়ের সঙ্গে আমার সময়ও মিলে গেলো। আর আমি আগে সিকিম যাইনি তার জন্য আমার ও আগ্রহ ছিল প্রবল।
এরপর আমার এক্সাম শেষ হলো এরপর একে একে নওশীন আর বিমুর। কথা ছিলো জানুয়ারির ১০-১১ তারিখে একসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে বের হবো, কিছু সমস্যার কারণে তা হয়ে উঠেনি, তো আমি একা ১০ তারিখে রওনা দিয়ে দেই বাংলাদেশ থেকে। নওশীন ও বিমু আরো ৪-৫ দিন পর বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে।
ভারতে আসার জন্য আমাদেরকে ঢাকা থেকে বেনাপোলের বাস ধরতে হয়। আর বেনাপোল বর্ডার দিয়ে আসার জন্য আমাদেরকে পোর্ট ফি বাবদ ৫০ টাকা এবং ভারতে ঘুরতে আসার জন্য ভ্রমণ ট্যাক্স ১০০০ টাকা দেওয়া লাগে।
পোর্ট ফি এবং ভ্রমণ ট্যাক্স আমরা আগের দিন অনলাইনে পরিশোধ করে ফেলি। বর্ডারে কোনো ঝামেলা ছাড়াই আমরা ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করতে পেরেছিলাম। আমি যেহেতু ওদের ৪-৫ দিন আগে কলকাতায় এসেছিলাম, এই কয়দিন আমি আমার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে কলকাতার আশেপাশে ঘুরে নিলাম। ওরা যেদিন কলকাতায় আসলো ওদের সঙ্গে আমি গিয়ে যুক্ত হলাম ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডে। ওখান থেকে আমরা শিলিগুড়ির বাসের টিকেট কেটে নিলাম। আমদের বাসটি ছিলো গ্রীনলাইন ভলবো বাস। আর আমাদের সিট ছিলো স্লিপার কোচেজর। ১৫ জানুয়া সন্ধ্যা ৬টায় আমাদের বাস ধর্মতলা থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাস কৃষ্ণনগরে থামে যাত্রাবিরতির জন্য। সেখানে আমরা ফ্রেশ হয়ে রাতের খাওয়ার সেরে নিলাম।
যদিও মন ভরে খেতে পারিনি সময় স্বল্পতার জন্য। বাসের ড্রাইভার তাড়া দিচ্ছিল। বাসটি সকাল ৭টা নাগাদ শিলিগুড়ি বাসস্টপে গিয়ে পৌঁছায়। এরপর আমারা সেখান থেকে ২-৩ মিনিটের পথ হেটে পৌঁছাই এসএনটিতে। যেখান থেকে সরকারি বাস গ্যাংটক, পেলিং, দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সেখানে গিয়ে আমরা ফ্রেশ হলাম এরপর সকালের নাস্তা করে নিলাম। তখন বাজে প্রায় ৯টা। আমরা বসে আছি এসএনটিতে আইএলপির জন্য। এসএনটি থেকে আইএলপি দেওয়া হয় সকাল ১০টার পর। সেদিন প্রায় ৩০ মিনিট দেরি করেই অফিস খুলেছে। আমরা পারমিট নিয়ে সকাল ১১টার গ্যাংটকের বাসের টিকিট কেটে নিলাম। বাসটি গ্যাংটক গিয়ে পৌঁছাতে বিকাল গড়িয়ে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়। এসএনটি বাস স্টপ থেকে মিনিট দশেক হেঁটে আমারা একটা হোটেলে উঠলাম। নাম ছিলো হোটেল উডল্যান্ড, এটি এমজি মার্গের নিচেই অবস্থিত।
হোটেলটির যে রুম আমরা নিয়েছি সেটি ছিল একটি ডাবল বেড এবং একটি সিঙ্গেল বেডের রুম। রুমে ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হয়ে আমরা খাওয়া-দাওয়া করে নিলাম। এরপর এমজি মার্গে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে রুমে ফিরে আসলাম। রুমে এসে একে একে ৩ জনে গোসল সেড়ে নিলাম। তখন গ্যাংটকের তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও রুমের ভিতরে তেমন ঠান্ডা অনুভূতি হয়নি। সেদিন রাতে আর আমরা কোথাও বের হয়নি কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। পরেরদিন সকালে নাস্তা করে আমরা একটা কার ঠিক করলাম লোকাল সাইট সিন করার জন্য। আমরা গাড়িতে উঠলাম তখনি গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হলো। বৃষ্টির মধ্যেই আমরা একে একে ১০টা পয়েন্ট ঘুরে নিলাম। প্রতিটি পয়েন্ট অনেক সুন্দর আর আমরা প্রতিটা পয়েন্টে গিয়ে ছবি ভিডিও করলাম। আমাদের লোকাল সাইটসিন শেষ করে আমরা দুপুরের খাওয়ার সেড়ে নিলাম। এরপর আমরা একটা ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে কথা বলে নর্থ সিকিমের ৩ দিন ২ রাতের প্যাকেজ ৩২০০ রুপিতে নিয়ে নিলাম। নর্থ সিকিম বর্তমানে এইরকম প্যাকেজের মাধ্যমে যেতে হয় না হয় পারমিট পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় বিদেশিদের ক্ষেত্রে। এরপর আমরা রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করলাম। রাত হয়ে যাওয়ায় ডিনার করার জন্য এমজি মার্গে ডিনার করতে গেলাম। ডিনার শেষে রাতের আলোকসজ্জিত এমজি মার্গের মলস্ট্রিটে কিছুক্ষণ সময় কাটালাম। রাতের দিকে আমরা রুমে গেলাম। সেদিন গ্যাংটকে আমাদের শেষ রাত্রি ছিল, যার ফলে অনেক দেরিতে ঘুমিয়েছিলাম।
পরের দিন সকালে আমার রুম চেক আউট করে বাজরা টেক্সি স্ট্যান্ডে পৌঁছাই। আমাদের জন্য একটা মিনিবাস ঠিক করে রেখেছিল ট্রাভেল এজেন্সি, মিনিবাসটিতে আমরা ছাড়া আরো ৭ জন বাংলাদেশি ছিলেন। তারাও আমাদের মতো এজেন্সির মাধ্যমে ট্যুরের প্যাকেজ নিয়েছেন।
আমাদের গাড়ি ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নর্থ সিকিমের উদ্দেশ্যে ছাড়ে। আমাদের আজকের গন্তব্যস্থল নর্থ সিকিমের লাচুং। নর্থ সিকিমে এখন পৌঁছাতে আগের তুলনায় অনেক বেশি সময় লাগে। কারণ ৩-৪ মাস আগে ভয়াবহ বন্যা হয়। যার ফলে অনেক সেতু এবং রাস্তা খারাপ হয়েছিল। এজন্য বিকল্প কিছু রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। যেনো পর্যটকরা ভ্রমণে যেতে পারে।
দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে এজেন্সির ঠিক করা একটা হোটেলে গাড়ি থামল দুপুরের খাওয়ারের জন্য। খাওয়া শেষে গাড়ি আবার চলা শুরু করল পাহাড়ি উপত্যকা বেয়ে লাচুংয়ের দিকে। যত সময় গড়াচ্ছে আমরা তত পাহাড়ের উপরের দিকে উঠতেছিলাম আর ততই ঠান্ডা লাগছিল। আমাদের গাড়ি রাতে ৯টার সময় লাচুংয়ের একটা হোটেলে থামল। তখন লাচুংয়ের তাপমাত্রা মাইনাস ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবাই তাড়াতাড়ি করে গাড়ি থেকে ব্যাগ নিয়ে হোটেলের রুমে উঠল। আমরা তিনজনে একটা রুমে উঠলাম এবং ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হয়ে বাড়িতে কথা বলে নিলাম।
এরপর রাতের খাবার খেয়ে জলদি রুমে এসে কম্বল মুড়িয়ে শুয়ে পড়লাম। কাল সকালে ৭টার আগেই ঘুম থেকে উঠতে হবে-এই তাগাদা দিয়েছেন ড্রাইভার সন্তোষ দাদা।
আমাদের কালকে ইয়ামথাং ভ্যালি আর জিরো পয়েন্টে নিয়ে যাওয়ার কথা তার। যেখানে শুধু বরফ আর বরফে আচ্ছাদিত চারদিক। আর এই বরফ ধরে বরফ নিয়ে খেলা করতেই আসলে আসা নর্থ সিকিম আসা।
সকালে যথারীতি সময়ে আমরা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে গাড়িতে গিয়ে উঠলাম। গাড়িতে ওঠার পর আমাদের গাইড সংগম দিলেন দুঃসংবাদ- বললেন জিরো পয়েন্ট এবং ইয়ামথাং ভ্যালি অতিরিক্ত তুষারপাতের কারণে বন্ধ হয় আছে।
ইয়ামথাং ভ্যালি দুপুর নাগাদ যাওয়ার অনুমতি মিললেও মিলতে পারে। ততক্ষণে আমাদের কাটাও পয়েন্টে ঘুরিয়ে আনবে যার জন্য প্রত্যেককে গুনতে হয়েছিল অতিরিক্ত ৪০০ রুপি। হোটেল থেকে কাটাও ভিউ পয়েন্টে যেতে আমাদের সময় লেগেছে প্রায় ৪০ মিনিট। কাটাও ভিউ পয়েন্টের ৩-৪ কিলোমিটার পথ ছিল আমার জার্নির সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত। কারণটা বলি, আকাশ তখন পুরো নীল আর সূর্যের আলো শুভ্র বরফকে আরো সৌন্দর্যমন্ডিত করে তুলেছে। পাইন গাছগুলো বরফে ঢাকা রাস্তার পাশে বরফ জমে আছে আর গাড়ি এইসবের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা অসম্ভব সুন্দর প্রকৃতি উপভোগ করছিলাম। আমার চোখ জুড়িয়ে গেল এত সুন্দর অপরূপ দৃশ্য দেখে। কেউ নিজের চোখে না দেখলে বুঝতেই পারবে না যে প্রকৃতি কতো সুন্দর রূপে নিজেকে সাজাতে পারে।
আমাদের গাড়ি কাটাও ভিউ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়াল। সব গাড়িই ওইখানে দাঁড়াচ্ছে, এর ওপরে যাচ্ছে না। গাড়ি থেকে নেমে আমরা তিনজন বরফের ওপর শুয়ে পড়লাম। শুরু হলো আমাদের ফটোগ্রাফি ভিডিওগ্রাফি। বরফ নিয়ে ছোড়াছুড়ি। বরফ নিয়ে ক্যাচ ক্যাচ খেলা, বরফের বল বানিয়ে গাছ থেকে বরফ ফেলা। অনেক মজা করলাম কাটাও পয়েন্টে।
কাটাও পয়েন্ট ঘোরা শেষে আমরা রওয়ানা দি ইয়ামথাং ভ্যালির দিকে। আমাদের ভাগ্য ভালো ছিলো না, যার জন্য ইয়ামথাং ভ্যালি পর্যন্ত যেতে পারিনি আমরা। এর দুইদিন পূর্বে অতিরিক্ত তুষারপাতের কারণে ভ্যালির রাস্তা বরফে বন্ধ হয়ে ছিল। তার জন্য আমরা ইয়ামথাং ভ্যালি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার আগেই আমাদের নর্থ সিকিমে ঘোরার পর্ব সমাপ্ত করতে হয়।
গাড়ি কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়ানো ছিল। সবাই বাড়িতে কল দিয়ে ভিডিও কলে দেখালাম যে, আমরা বরফের রাজ্যে, তখন ওই জায়গার আবহাওয়া ভালো ছিল নাহ। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ছিল, আর চারপাশে সব বরফ। একটু পর সবাই গাড়িতে উঠে বসল আর হোটেলে যাওয়ার তাগাদা দিচ্ছিলেন ড্রাইভার।
হোটেলে পৌঁছে আমরা দুপুরের খাওয়ার খেয়ে রুমে গিয়ে বিশ্রাম নিলাম। সেদিন আর কোনো কাজ ছিলো নাহ, বাইরে অনেক ঠাণ্ডা আর বাতাস ও ছিল। তাই আমি কম্বল মুড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। এক ঘুমে সন্ধ্যা হয়ে যায়।
আমাদের ফোনের ইন্টারনেট ডাটা ও সেদিন শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই ফোনে লুডু খেলা শুরু করি সময় ও ভালো অতিবাহিত হয়।
রাতের খাওয়ার খেয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম। কারণ পরের দিন খুব সকালে গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া লাগবে।সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাশতা করে গাড়িতে উঠি। গাড়ি লাচুং থেকে সকাল ৮টার সময় ছাড়ে এবং গ্যাংটক গিয়ে পৌঁছায় দুপুর ১টা নাগাদ।
গাড়ি থেকে নেমে আমরা একটা শেয়ার কারে করে দিওরালি ট্যাক্সি স্ট্যান্ড পৌঁছাই। সেখান থেকে শিলিগুড়ির শেয়ার জিপের টিকেট কেটে নিলাম ৪০০ রুপি করে প্রতিজন। গাড়ি শিলিগুড়ি গিয়ে পৌঁছায় রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ।
তখন প্রায় সব বাসেই শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়েছে। আর একটা মাত্র বাস ছিলো রাত ৮টা ৪৫ এর। আমরা যদি শেষ বাস না ধরি তাহলে শিলিগুড়ি একরাত থাকা লাগবে। আর আমরা কেউ ওখানে রাত্রিযাপনে ইচ্ছুক ছিলাম না। তাই বাসের টিকিট কনফার্ম করে পাশের একটা হোটেলে খেতে বসি। খাওয়া শেষ হওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই বাস হোটেলের সামনে এসে হাজির।
আমরা বাসে উঠে যাই, আর বাস সকাল ৮টা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছাই। আমি শেষ স্টপেজের আগেই নেমে পড়ি বাস থেকে। কারণ আমার একটা কাজ ছিল। তাই আমি নওশীন, বিমুকে বিদায় দিয়ে আগেই বাস থেকে নেমে যাই।
এইখানেই আমাদের সিকিম ভ্রমণের পরিসমাপ্তি ঘটে। নওশীন আর বিমু ওইদিন ২১ জানুয়ারি ওদের কিছু কেনাকাটি ছিল তা শেষ করে বর্ডারের ইমিগ্রেশন শেষ করে বাংলাদেশ পৌঁছায়। আর আমি আমার কিছু আমার কিছু আত্মীয় স্বজনের বাড়ি গিয়ে দেখা করে আসি।
আমি ২৪ জানুয়ারি বিকালের দিকে পেট্রাপোল-বেনাপোল বর্ডারে ইমিগ্রেশন শেষ করে বাংলাদেশে এসে পৌছালাম।
বাংলাদেশে আসার পর কেনো জানি না একটা আলাদা প্রশান্তি কাজ করছিল। নিজেকে স্বাধীন মনে হচ্ছিল।
এই ছিল আমার এবং আমাদের প্রথমবারের বিদেশ ভ্রমণ।
লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

