পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়া। শীত যাই যাই করছে। দখিনা বাতাস জানাচ্ছে বসন্তের আগমনী বার্তা। আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিতে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকখানি কমে যায়। এসময় জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, সর্দির মতো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা যায় সবার ঘরে। তাই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়টাতে এমন খাবার খেতে হবে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
এসময়ের জন্য অত্যন্ত উপকারি একটি খাবার শজনে ফুল। বছরের অন্য সময় এটি পাওয়াও যায় না। বসন্তের প্রথম দিকে শজনে গাছে ফুল হয়। বেশিরভাগ মানুষ শজনে পাতা আর ডাঁটা খান। কিন্তু এর ফুলও যে শরীরের জন্য অনেক উপকারি তা জানেন না।
বিজ্ঞাপন

আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের মতে, বহু গুণ উপকারী এই শজনে ফুল। ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে এটি। শজনে ফুলে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি এর মতো উপকারি সব উপাদান। আরও আছে ভিটামিন এ, বি ১, বি২, বি৩, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম। শরীরে প্রোটিনেরও জোগান দেয় এই ফুল।
আরও পড়ুন- শজনে চা: ৫ কঠিন রোগের সহজ সমাধান
বসন্তের শুরুতে শরীর সুস্থ রাখতে অবশ্যই পাতে রাখুন শজনের ফুলের ভাজা। সাধারণত ঘি বা তেলে ভেজে খাওয়া হয় এই ফুল। কেউবা আবার শজনে ফুলের বড়া তৈরি করে খান। তবে উপকারিতা না জানায় বেশিরভাগ মানুষই এই ফুল চেখে দেখেন না।
বিজ্ঞাপন

শজনে ফুল সবচেয়ে বেশি কার্যকর ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তদের জন্য। এছাড়াও হাড়ের জন্যও উপকারী এই ফুল।
যারা কৃমি সমস্যায় ভুগছেন তারা শজনে ফুল খেলে উপকার পাবেন। এটি কৃমিনাশক।

এছাড়াও শরীরের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এই ফুলের বিকল্প কিছু নেই। সহজলভ্য এই ফুল তাই রাখুন খাদ্যতালিকায়।
আরও পড়ুন- কুমড়া শাকের উপকারিতা
স্বাদে হালকা তিতা এই ফুল মুখরোচক খাবার হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। যাদের খাবারে রুচি নেই তারা এই ফুলের বড়া বা ভাজা খেতে পারেন। এতে মুখে রুচি ফিরবে। বসন্তের শুরুতে এই ফুল ভাজি করে খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শরীর সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে যা খুবই উপকারী।

কীভাবে খাবেন শজনে ফুল?
এই ফুল খাওয়ার জনপ্রিয় উপায় হলো ভাজি করে খাওয়া বা বড়া বানিয়ে খাওয়া। তবে ভাজাভুজি খেতে ইচ্ছে না করলে শজনে ফুল, বেগুন, আলু আর মটরশুঁটি দিয়ে হালকা কোনো চচ্চড়ি বানিয়ে নিতে পারেন। চাইলে আলু আর শজনে ডাঁটা দিয়ে ঝোল বানালে তার মধ্যেও দিয়ে দিতে পারেন ফুল।
আরও পড়ুন- গাঁদা ফুলের এত উপকারিতা!
শজনে ফুলের উপকারিতা পেতে সপ্তাহে একদিন এই ফুলের ভর্তাও রাখতে পারেন পাতে।
এনএম

