বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

ঈদযাত্রায় ইফতার: কী নেবেন, কী খাবেন?

নিশীতা মিতু
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২২, ১১:২৪ এএম

শেয়ার করুন:

ঈদযাত্রায় ইফতার: কী নেবেন, কী খাবেন?

চলছে রমজানের শেষ সময়। নীড়ে ফিরতে রাজধানী ছাড়ছে অনেকেই। প্রিয় আর কাছের মানুষদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটছেন গ্রামে। গত দুই বছরের তুলনায় এবার গ্রামে ফেরা মানুষের সংখ্যা একটু বেশি। আর তাই মহাসড়কে বাড়তি যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে। অতিরিক্ত যানজট বা দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে অনেকেরই ইফতার করতে হতে পারে পথে। তাই আগে থেকে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত। 

eid


বিজ্ঞাপন


পানি রাখুন বেশি 

গরমে পানিশূন্য হয়ে পড়ে দেহ। তাই ইফতারে বেশি পানি পান করা জরুরি। অনেকেই বহনে ঝামেলা হবে ভেবে ছোট পানির বোতল নেন। এ কাজটি করবেন না। ইফতারের ৩/৪ ঘণ্টা আগে রওয়ানা দিলে শরবত বানিয়েও নিতে পারেন। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বা তরল সঙ্গে রাখুন। নাহয় জ্যামে গরমে ক্লান্ত হয়ে যাবেন। হিট স্ট্রোকও করতে পারেন। 

eid

সঙ্গে রাখুন ফল 


বিজ্ঞাপন


বাস বা ট্রেনে ইফতার করতে হলে সঙ্গে ফল রাখুন। একটি জিপলক ব্যাগে খেজুর, আপেল, আঙুর, কলার মতো ফল নিতে পারেন। ছোট বক্সে কেটে নিতে পারেন তরমুজ, মালটা। ফল খেলে দ্রুত পেট ভরবে। সেসঙ্গে পাবেন বাড়তি শক্তি। 

eidখেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার 

অনেকে যাত্রা পথে ইফতার করলে ভাজাপোড়া খাবার খান। কিংবা খিচুড়ি, তেহারির মতো ভারী খাবার খেয়ে থাকেন। এসব খাবার পেট গরম করে দেয়। বাড়ায় তৃষ্ণা। এছাড়া দেখা দিতে পারে হজমজনিত সমস্যা। যেহেতু যাত্রাপথে হুট করে টয়লেটে যাওয়া সম্ভব হয় না, তাই এসব খাবার এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্যকর ও ঘরে তৈরি খাবার সঙ্গে রাখুন। সেদ্ধ ডিম, ছোলা, সবজি নুডলস, দই-চিড়া এসব খেতে পারেন। 

eidযাত্রা বিরতিতে ইফতার 

এখন বেশিরভাগ বাসই ইফতারের সময় নির্দিষ্ট স্টপেজে থামে। ট্রেনও থামে স্টেশনে। এসব জায়গায় খাবার কিনে খাওয়ার সুযোগ থাকে। এক্ষেত্রে ভাজাপোড়া বা ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। শরবত, ফল, সালাদ জাতীয় খাবার খান। নয়তো, গাড়ির ঝাঁকিতে হজমে গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে। বমির সম্ভাবনাও থাকে। 

eidলঞ্চে ইফতার 

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যারা যাবেন তাদের বেশিরভাগই লঞ্চে ভ্রমণ করবেন। লঞ্চের ভেতরেই দোকান থাকে। সেখান থেকে খাবার কিনে খাওয়া যায়। তবে বাসা থেকেই খাবার নিয়ে আসা ভালো। এতে টাকাও বাঁচবে, স্বাস্থ্যকর খাবারও খেতে পারবেন। লঞ্চের ডেকে এলোমেলো করে না বসে গোছানো পরিবেশে বসুন। খাবারের উচ্ছিষ্ট পানিতে না ফেলে পলিথিনে রাখুন বা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। 

eidপাশের যাত্রীর সঙ্গে আচরণ

অনেকেই পাশের যাত্রীকে ইফতার খাওয়ার অনুরোধ জানান। এমনটি করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন তিনি মুসলিম কিনা। অন্য ধর্মের সহযাত্রী হলে ইফতারের অনুরোধে বিব্রত হতে পারেন। অন্য দিকে, ঈদে মলম পার্টি বা অজ্ঞান পার্টি চক্র সক্রিয় থাকে। তাই অপরিচিত সহযাত্রীর কাছ থেকে কিছু না খাওয়াই ভালো। 

eidপরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন

বাসে বা ট্রেনে ইফতার করলে পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন। খাবারের প্যাকেট, ফলের খোসা আশেপাশে ফেলে যানবাহন বা রাস্তা অপরিষ্কার করবেন না। খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলবেন না। একটি পলিথিন বা প্যাকেটে এসব উচ্ছিষ্ট রেখে দিন। যানবাহন থেকে নেমে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। 

ঈদ ভ্রমণে ইফতার করার সম্ভাবনা থাকলে সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে যাত্রা শুরু করুন। এতে ভোগান্তি কমবে, ভ্রমণ আরামদায়ক হবে। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর