জাতীয় সংগীত শোনা বা গাওয়ার সময় যখন ‘ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি’ লাইন আসে তখন কল্পনার প্রেক্ষাপটে অগ্রহায়ণের ফসলে ভরা ক্ষেত আপনাআপনিই চলে আসে। প্রকৃতিতে চলছে অগ্রহায়ণ মাস। সোনালি ধানে ভরে গেছে ফসলের ক্ষেত।
ধানের মিষ্টি ঘ্রাণ নাকে ভেসে আসার সময় এটি। কৃষকরা ব্যস্ত সোনার ফসল কেটে ঘরে তোলায়। ধানের ডগার শিশির বিন্দুর সরব উপস্থিতি জানান দিচ্ছে আর মাত্র সপ্তাহ দুয়েক পরই আসছে শীত। শহরের কোলাহলে অগ্রহায়ণের আমেজ অতটা বোঝা না গেলেও গ্রাম বাংলায় ঠিকই বোঝা যায়। লিটন লিটুর ক্যামেরায় উঠে এসেছে সিলেটে আগ্রহায়ণের কিছু চিত্র। চলুন সেগুলোতে চোখ বোলানো যাক-
বিজ্ঞাপন
ছবি ১- বাংলার চিরচায়িত রূপ এটি। ধানের ক্ষেত, নীল আকাশে সাদা মেঘ, আর শান্ত হাওয়া মন ভালো করে দিতে বাধ্য।
ছবি ২- অগ্রহায়ণের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ সোনালি ফসল। সবুজ ধান পাকতে পাকতে সোনালি রঙ ধারণ করে। একই সঙ্গে বাড়তে থাকে কৃষকের হাসিও।
বিজ্ঞাপন
ছবি ৩- শীতের আগাম বার্তা যে কেবল ফসল নিয়ে আসে না নয়। লাউয়ের ডগাও মাথা উঁচু করে জানায় অগ্রহায়ণ শেষেই আসবে শীত।
ছবি ৪- কিছু ছবি নিজেই কথা বলে। তেমনি এক ছবি এটি। সোনা রোদ আর সোনালি ধান মিলেমিশে একাকার
ছবি ৫- কোনো ক্ষেতের ধান পেকেছে, কোনোটির ধান পাকার অপেক্ষায় আছে। সবুজ আর হলুদ মিলে এ যেন প্রাকৃতিক ক্যানভাস
ছবি ৬- ধান কেটেই কাজ শেষ নয়। সেগুলোকে বয়ে নিতে হয় বাড়িতে। নতুন ধানের চাল দিয়ে গৃহিণীরা বানান হরেকরকম পিঠাপুলি।
ছবি ৭- সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে সোনার ফসল কাঁধে নিয়ে বাড়ি ফেরার বেলা।