অফিসের কাজ, বন্ধুদের সঙ্গে কিংবা আনন্দ-উৎসব— এসবের মাঝেই হঠাৎ কানে আসে মটমট শব্দ। অনেকেরই নিত্য অভ্যাসের মধ্যে রয়েছে আঙুল ভাঁজ করে মটমট শব্দ করা। এমনটা করলে স্বস্তি মেলে। তবে এই শব্দটি অনেকের ক্ষেত্রেই বিরক্তির কারণ।
এমনটা শোনা যায়, আঙুল ফোটানোর কারণে ভবিষ্যতে বাতের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আসলেই কি এই অভ্যাসটি শরীরের জন্য খারাপ?
বিজ্ঞাপন

আর্থারাইটিস অ্যান্ড রিউম্যাটিজম জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, আঙুল মটকানোর সঙ্গে বাতের কোনো সম্পর্ক নেই। আঙুলের অস্থিসন্ধিতে তরল পদার্থ জমা থাকে। আঙুল ফাটানোর সময়ে অস্থির মাঝে ফাঁক বেড়ে যায়। এই ফাঁকে সৃষ্টি হয় বুদবুদ। এই বুদবুদগুলো নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড পূর্ণ থাকে। গ্যাসে পরিপূর্ণ বুদবুদগুলি ফেটে যাওয়ার কারণেই বুদবুদ শব্দ হয়।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, যতক্ষণ না আঙুল ফাটালে ব্যথা কিংবা ফোলাভাব দেখা দিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আঙুল ফাটালে কোনো সমস্যা নেই। বরং এই অভ্যাসের কারণে আঙুলের জড়তা কাটে। আঙুলের নরম টিস্যুগুলি স্ট্রেচ হয়। তাই মাঝেমধ্যে আঙুল ফাটানো বদভ্যাস নয়, বরং এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে শরীরে।

বিজ্ঞাপন
তাই বলে অতিরিক্ত আঙুল মটকানো ভালো কিছু নয়। বাতের সমস্যা না হলেও এতে অন্য সমস্যা হতে পারে। ক্রমাগত আঙুল মটকালে সাইনোভিয়াল মেমব্রেন ছিঁড়ে যেতে পারে এবং জয়েন্টগুলো ফাটতে পারে।
যারা খুব ঘন ঘন আঙুল মটকান, তাদের আঙুল একসময় দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কবজির হাড়ও দুর্বল হয়ে যেতে পারে এই কারণ। ফলে কমে যেতে হাতের জোরও। তাই অতিরিক্ত আঙুল মটকানোর অভ্যাস বদলানোই ভালো।
এনএম

