‘ও তেমন কিছুই খেতে চায় না’—বেশিরভাগ মা ই শিশুকে নিয়ে এই অভিযোগ করেন। প্রায়ই শিশুরা খাবার খেতে চায় না। এমনকি পছন্দের খাবার তৈরি করে দিলেও মুখে তুলতে চায় না। চিকিৎসকদের মতে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে অনেকসময় মুখে অরুচি আসে শিশুর। এছাড়াও দেখা দিতে পারে জ্বর, ওজন কমে যাওয়া, পেট ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা।
শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্যের কিছু লক্ষণ
বিজ্ঞাপন
সপ্তাহে ৩ বারের কম মল ত্যাগ করলে বুঝতে হবে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়েছে। এর আরও কিছু লক্ষণ হলো-
- মল শক্ত হওয়া এবং মলত্যাগে কষ্ট অনুভব করা
- পেট ব্যথা করা
- মলের সঙ্গে রক্তপাত ইত্যাদি
কিছু ছোটোখাটো বিষয় খেয়াল রাখলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জানা যাক বিস্তারিত-

বিজ্ঞাপন
পানি পানের পরিমাণ
শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পানি পানের পরিমাণ বাড়ান। শরীরে পানির ঘাটতি হলে এই সমস্যা দেখা দেয়। তাই শিশু পরিমিত পানি পান করছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
খাদ্যতালিকায় যোগ করুন বেশি পরিমাণ শাক-সবজি আর ফল। এসব খাবারে ফাইবার থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। এক্ষেত্রে কলা, স্ট্রবেরি, দই, চিয়াবীজ একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে স্মুদি বানিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন। উপকার মিলবে। এছাড়া সেদ্ধ খাবার বেশি খাওয়ান।

ঘি-দুধ
এক গ্লাস গরম দুধে ১/২ চা চামচ ঘি মেশান। এই পানীয় রাতে ঘুমানোর আগে পান করুন। উপকার মিলবে।
প্রক্রিয়াজাত খাবারে ‘না’
শিশুরা চিপস, চকলেট, ফাস্ট ফুড, বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতে ভালোবাসে। এসব খাবার কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে। তার বদলে ঘরে তৈরি টাটকা খাবার খাওয়ালে উপকার পাবেন।

এছাড়াও এখন বেশিরভাগ শিশু মোবাইল বা কম্পিউটারে ব্যস্ত সময় কাটায়। চেষ্টা করুন মাঝেমধ্যে শিশুকে নিয়ে বাইরে খেলতে যেতে। গ্যাজেট নির্ভর না হয়ে শিশুরা যেন সৃজনশীল কাজে মনোযোগী হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ঘরোয়া উপায়গুলো কাজে লাগিয়ে উপকার না মিলবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা ব্যতীত শিশুকে কোনো ওষুধ খাওয়াবেন না।
এনএম

