ঘরে যতই নিয়ম মানা হোক, বাইরে ঘুরতে বের হলে মন এটা-ওটা খেতেই চায়। কখনো আইসক্রিমে কামড় বসাতে ইচ্ছে করে। আবার কখনো চুমুক দিতে মন চায় গরম এক কাপ কফিতে। সমস্যা হলো দাঁত নিয়ে। অনেকেরই ঠান্ডা-গরম খাবার খেলেই শুরু হয় দাঁতে ব্যথা।
যন্ত্রণাদায়ক এক সমস্যা এটি। অনেকেরই ঠান্ডা খাবার খেলে কিংবা গরম কিছু মুখে দিলে দাঁতে শিরশিরানি শুরু হয়। কারো ক্ষেত্রে আবার মিষ্টি খাবার বেশি খেলে দেখা দেয় দাঁতে ব্যথা। এসব সমস্যার পেছনে নিজেদের কিছু অভ্যাসও দায়ী। কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

মুখগহ্বরের যত্ন
আনন্দ নিয়ে ঘুরলেন সারাদিন। বাড়ি ফিরে ক্লান্ত দেহে ঘুমিয়ে গেলেন। এখানেই কিন্তু সমস্যা! দাঁত ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত মুখগহ্বরের যত্ন নিতে হবে। রোজ ঘুমাতে যাওয়া আগে দাঁত মাজার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করলে দাঁত ভালো থাকে।
সঠিক ব্রাশ এবং মাজন নির্বাচন
বিজ্ঞাপন
পরিবারের সব সদস্য কি একই প্রসাধনী ব্যবহার করেন? উত্তর নিশ্চয়ই ‘না’ হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী একেকজনের প্রসাধনী একেক রকম হয়ে থাকে। তাহলে মাজনের ক্ষেত্রে কেন একই পণ্য সবাই ব্যবহার করেন? চিকিৎসকেরা বলছেন, মুখগহ্বরের সমস্যা অনুযায়ী প্রত্যেকের মাজনও আলাদা হওয়া জরুরি। তাই একজন ভালো দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দাঁতের জন্য উপযুক্ত মাজন ও ব্রাশ বেছে নিন।

মিষ্টিজাতীয় খাবারে লাগাম
বেশিরভাগ দাঁতের সমস্যার মূলে রয়েছে মিষ্টিজাতীয় খাবার। অতিরিক্ত ঠান্ডা কোমল পানীয়, চকলেট, আইসক্রিম, মিষ্টি খেলে মুখের ভেতর অম্লত্বের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এই অ্যাসিড থেকেই নষ্ট হয়ে যায় দাঁতের এনামেল। দাঁতের উপর থেকে এই উপাদানের লেয়ার উঠে গেলে দাঁত সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ছোটোখাটো এই অভ্যাসগুলো নিয়মিত মেনে চলুন। তাহলে ভালো থাকবে দাঁত। সুস্থ থাকবেন আপনি।
এনএম

