দেহে রোম থাকা স্বাভাবিক। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এর পরিমাণ হয় অত্যাধিক। হরমোনের ওঠানামার কারণে কারো ক্ষেত্রে রোমের ঘনত্ব অনেক বেশি হয়। রোম বা লোম তোলার অনেক উপায় প্রচলিত রয়েছে। অনেকেই এক্ষেত্রে বেছে নেন ওয়্যাক্সকে।
বর্তমানে অনেকে একেবারে অর্থাৎ চিরতরে অবাঞ্ছিত রোম তোলার জন্য লেজার পদ্ধতির সাহায্য নেন। এটি বেশ খরচসাপেক্ষ। তাই কেউ লেজার ট্রিটমেন্ট নেওয়ার আগে সবদিক ভালোভাবে বিবেচনা করে নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন

লেজার পদ্ধতিতে রোম তোলা নিয়ে অনেকের অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। চলুন এই বিষয়ে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জেনে নিই-
১। অনেকেই মনে করেন, একবার লেজার করালেই আর রোম গজাবে না। এই ধারণা কিন্তু ভুল। এক সিটিংয়ে কখনোই কাজ হবে না। এমনটা চাইলে বেশ কিছু সিটিং নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন
২। লেজার পদ্ধতিতে হেয়ার রিমুভ করার আগে জেনে রাখুন, অনেকে এই পদ্ধতিকে রোমহীন ত্বকের স্থায়ী সমাধান ভাবেন। আসলে কিন্তু এর প্রভাব বড়জোর ছয় মাস থাকে। কারো ক্ষেত্রে তারও কম সময় থাকে। এই বিষয়টি নির্ভর করে কার শরীরে কোন হরমোনের মাত্রা কেমন, তার উপর। সবটা জেনে এরপর সিদ্ধান্ত নিন।
আরও পড়ুন- মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার উপায়
৩। অনেকে ভাবেন, লেজার একটি ব্যথাহীন প্রক্রিয়া। এই ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। একেক জনের ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা একেক রকম। লেজার করালে সামান্য চিনচিনে ব্যথা হয়। তবে ব্যথা কমানোর জন্য কুলিং এজেন্ট বা সেই জায়গাটি অবশ করার ক্রিম ব্যবহার করা হয়। অনেকের মতে, ওয়্যাক্সিংয়ের তুলনায় লেজারে ব্যথার পরিমাণ কম।

৪। সংবেদনশীল ত্বকে লেজার ট্রিটমেন্ট করালে সমস্যা বাড়ে— এই ধারণা ঠিক নয়। ভালো জায়গা থেকে এই ট্রিটমেন্ট সব ত্বকেই করানো যেতে পারে। একেক ত্বকের জন্য ট্রিটমেন্টের ধরন একেক রকম হয়।
৫। অনেকের মতে, লেজার করালে ত্বকের একাংশ পুড়ে যেতে পারে। আসলে এমনটা ঘটে না। যদিও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে র্যাশ, অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
এনএম

