রোববার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ঘরোয়া উপায়

পায়ের গোড়ালি ব্যথা, কী করবেন? 

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৫ পিএম

শেয়ার করুন:

pain

অনেকেই আছেন যারা প্রায়ই গোড়ালি ব্যথায় ভোগেন। বিশেষ করে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আর সারাদিনের কাজের শেষে এই ব্যথা বাড়তে পারে। এই যন্ত্রণা একবার শুরু হলে আর সহজে থামতে চায় না। এজন্য গোড়ালি ব্যথা নিয়ে সতর্ক হতে হবে প্রাথমিক পর্যায় থেকে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ব্যথার পেছনে অস্টিওআর্থ্রাইটিস, গাউট, নার্ভের সমস্যা, রক্তনালীতে রক্তসঞ্চালন বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ একাধিক জটিল রোগ থাকতে পারে। তাই এই স্বাস্থ্য সমস্যাটি মোটেও এড়িয়ে যাওয়া চলবে না। 


বিজ্ঞাপন


pain2

অনেকেই গোড়ালি ব্যথা করলেই দ্রুত পেইনকিলার খেয়ে নেন। এতে ব্যথা তাৎক্ষনিক কমে ঠিকই তবে সমস্যার মূলে আর আঘাত করা হয়ে ওঠে না। এজন্য গোড়ালি ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া উপায়ে ভরসা রাখতে পারেন। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত- 

বিশ্রাম নিন

গোড়ালির ওপর শরীরের পুরো ভার ফেললে সমস্যা বাড়ে। তাই হাড়ের চিকিৎসকেরা অ্যাঙ্কেল পেইনে ভোগা ব্যক্তিদের বিশ্রামের পরামর্শ দেন। গোড়ালি ব্যথা করলে হাঁটাহাঁটি করবেন না। বেশি ব্যথা থাকলে প্রয়োজনে ক্রাচের ওপর ভর করে হাঁটুন। ২/৩ দিন এই নিয়ম মানলেই কমবে ব্যথা। 


বিজ্ঞাপন


pain3

আইসপ্যাক কাজে লাগান

ব্যথা কমাতে বরফের সাহায্য নিন। হেলথলাইনের মতে, গোড়ালি ব্যথায় ভুক্তোভোগীদের দিনে অন্তত ৩ থেকে ৫ বার আইসপ্যাক লাগানো উচিত। প্রতিবার অন্তত ২০ মিনিট করে সেক দিন। ৩ দিন পরপর বরফের সেক দিলেই ব্যথা ও ফোলাভাব দুটোই কমবে। 

কমপ্রেশন দিতে ভুলবেন না

গোড়ালি ব্যথা সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় কমপ্রেশন বা চাপ দিতে হবে। এজন্য দোকান থেকে একটি অ্যাঙ্কেল কমপ্রেশন ইলাস্টিক ব্যান্ডেজ কিনুন। এরপর সেই ব্যান্ডেজ টাইট করে গোড়ালিতে বেঁধে রাখুন। এতে ব্যথা কমবে। তবে খুব বেশি শক্ত করে এই ব্যান্ডেজ বাঁধা যাবে না। এতে সেই অংশের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। 

pain4

পা তুলে রাখুন

অনেকক্ষণ পা ঝুলিয়ে রাখলে গোড়ালির ব্যথা বাড়তে পারে। তাই এই সমস্যায় পা তুলে রাখার চেষ্টা করুন। এতে গোড়ালির ব্যথা যেমন কমবে, ঠিক তেমনই কমবে পায়ের ফোলা ভাবও। তবে ১ ঘণ্টা পা তুলে রাখার পর ৫ মিনিটের জন্য পা নীচে নামিয়ে রাখতে হবে। তাহলে পায়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে। 

এসব ঘরোয়া টোটকা ব্যবহারের পরও যদি ব্যথা না কমে তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ খান এবং ব্যায়াম করুন। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর