দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ দাঁত। যার দাঁতের সমস্যা আছে সে বোঝে কত কষ্ট। বিশেষত আক্কেল দাঁতের যন্ত্রণা মানুষকে বেশি ভোগায়। আবার অনেকসময় দাঁতের সমস্যায় ফিলিং, রুট ক্যানেলিং করেও সমাধান মেলে না। তখন বাধ্য হয়েই দাঁত উঠিয়ে ফেলতে হয়।
দক্ষ দন্তচিকিৎসকের সাহায্যে দাঁত তো তোলা হয়। কিন্তু এরপর দেখা দেয় আরেক বিপত্তি। তা হলো খাবার নিয়ে। চিকিৎসকরা দাঁত ফেলার পর ঠান্ডা আর নরম খাবার খেতে পরামর্শ দেন। এমন কিছুর কথা ভাবলেই আইসক্রিমের কথা মাথায় আসে। কিন্তু কেবল এই খাবারটিই তো প্রতিবেলা খাওয়া সম্ভব নয়।
বিজ্ঞাপন
দন্তচিকিৎসকদের মতে, দাঁত তুলে ফেলার পর ক্ষত শুকানোর জন্য ভিটামিন সি আর শক্তি ও পুষ্টি জোগাতে আমিষ, ভিটামিন, মিনারেলসযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। এসময় শক্ত ও খুব গরম খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। শক্ত খাবার খেলে ক্ষত ও আশপাশের রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এসময় কী কী খাবেন জানুন-
স্যুপ
দাঁত ফেলার পর উপযুক্ত একটি খাবার স্যুপ। আমিষ আর শাকসবজি–সহযোগে স্যুপ তৈরি করে খেতে পারেন। এতে পেট যেমন ভরবে, তেমনি মিলবে পুষ্টি। তবে স্যুপ বেশি গরম অবস্থায় খাওয়া যাবে না।
বিজ্ঞাপন
দই
শরীরের জন্য বেশ উপকারি একটি উপাদান দই। আইসক্রিমের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে এটি। এতে প্রচুর প্রোটিন আছে। অন্যদিকে হজমে সহায়ক দই। দাঁত ফেলার পর খাবারতালিকায় এই খাবারটি রাখেন।
স্ক্র্যাম্বল করা ডিম
সহজলভ্য একটি খাবার ডিম। এটি অপেক্ষাকৃত সুলভ আমিষের উৎস। শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে এর বিকল্প নেই। স্ক্র্যাম্বল করার সময় নরম করে ভাজলে এসময়ের জন্য তা উপযুক্ত খাবার হতে পারে। সেটা সম্ভব না হলে হাফ বয়েল্ড ডিমও খেতে পারেন।
ম্যাশ করা আলু
প্রায়ই অনেক রেস্তোরাঁয় স্টেক বা অন্য খাবারের সঙ্গে সাইড ডিশ হিসেবে ম্যাশড পটেটো দেওয়া হয়। বাংলায় যাকে মিহি সেদ্ধ আলু বলা যায়। দাঁত ফেলার পর নরম খাবার হিসেবে এটি খেতে পারেন। এই খাবার যেমন সহজে খাওয়া যাবে তেমনি শর্করার শক্তি মিলবে দ্রুত।
পাকা কলা
নরম ও পুষ্টিকর একটি খাবার পাকা কলা। এতে প্রচুর শর্করা আছে। আবার দ্রুত পেটও ভরায় এটি। দাঁত ফেলার পর তাই কলা খান।
জাউ বা নরম খিচুড়ি
চাল-ডালের সঙ্গে সবজি মিশিয়ে কষ্ট ছাড়াই নরম খিচুড়ি রান্না করা যায়। এটি খুব পুষ্টিকরও। শেষে ডিম গুলে দেওয়া যায়। দাঁত ফেলার পর বেশ উপযোগী খাবার হতে পারে এটি। খেতে পারেন জাউভাতও।
কী কী খাওয়া যাবে না
দাঁতের সার্জারি হলে কেবল শক্ত খাবার এড়িয়ে গেলেই হবে না। পাশাপাশি অ্যালকোহল ও নিকোটিন (সিগারেট) গ্রহণ করা ছাড়তে হবে। ক্যাফিনও কম গ্রহণ করলে ভালো এসময়। খেলেও বেশি গরম খাওয়া যাবে না।
এনএম