বাঙালি ঐতিহ্যের সঙ্গে এখনও জড়িয়ে আছে কাঁসা-পিতলের বাসন। অনেক বাড়িতেই কাঁসা-পিতলের বাসন, বাটি ব্যবহার করা হয়। মনে প্রশ্ন জাগে কাঁসা আর পিতল কি একই জিনিস? আজ চলুন এর উত্তর জানা যাক-
না। কাঁসা আর পিতল মোটেও এক জিনিস নয়। তবে এই দুটোর মধ্যেই একটি মিল রয়েছে। তা হলো দুটোই তামার মিশ্র ধাতু। তাহলে কাঁসা আর পিতলের মধ্যে পার্থক্য কী?
বিজ্ঞাপন
কাঁসা হচ্ছে এক ধরনের ব্রোঞ্জ। এটি টিন ও তামার মিশ্রণে তৈরি হয়। ভালো কাঁসার মধ্যে ৭৮ শতাংশ তামা ও ২২ শতাংশ টিন থাকে। এই দু’টি ধাতুকে প্রায় ৭০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে উত্তপ্ত করে মেশালে কাঁসা উৎপন্ন হয়।
নিত্যদিনের খাবার খাওয়ার কাজে কাঁসার থালা-বাসন ব্যবহার করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত কাঁসার বাসনে খেলে, হজমের সমস্যা দূর হয়। কাঁসায় টিনের পরিমাণ বেশি থাকায়, কাঁসার পাত্রে সরাসরি রান্না করা যায়। তবে টক জাতীয় রান্না, যেমন তেঁতুল, অতিরিক্ত টমেটো দিয়ে রান্না করা যায় না। কাঁসার থালা বা পাত্রেও অতিরিক্ত টক জিনিস খাওয়াও উচিত নয়।
কাঁসা লালচে সোনালি বর্ণের হয়ে থাকে। এতে শব্দ করলে শব্দের প্রতিধ্বনি হয়। কাঁসার পণ্য তৈরি করতে কারিগরের খরচ বেশি পড়ে। এই ধাতু দিয়ে থালা, বাটি, গ্লাস, মন্দিরের ঘণ্টা ইত্যাদি তৈরি হয়।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, পিতল হলো দস্তা বা জিঙ্ক ও তামার মিশ্রণ। এতে ৬০ শতাংশ থাকে তামা আর ৪০ শতাংশ জিঙ্ক। পিতল উজ্জ্বল সোনালি বর্ণের হয়ে থাকে। এতে সরাসরি রান্না করা একেবারেই উচিত নয়।
পিতল সহজেই কাস্টোমাইজ করা যায়। তাই মূর্তি, ফুলদানির মতো গৃহসজ্জার জিনিসও পিতল দিয়ে তৈরি করা সম্ভব। পিতলের শব্দ ও কাঁসার শব্দ অনেক আলাদা। শুনলেই সহজে পার্থক্য করা যায়।
এনএম