আমাদের শরীরে থাকা বিষাক্ত পদার্থ শরীরের বাইরে বেরিয়ে যায় মল বা মূত্রের মাধ্যমে। একজন মানুষ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অনেকবারই মূত্র ত্যাগ করেন। তবে অনেকেই জানেন না যে দিনে কত বার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক। ২ লিটার পানি পান করলে ৬ থেকে ৭ বার প্রস্রাব হতে পারে। এটি স্বাভাবিক।
কারো যদি দিনে ১০ থেকে ১৫ বার প্রস্রাব হয়, বিশেষত রাতে ঘন ঘন বাথরুমে যেতে হয় তবে তা কিন্তু স্বাভাবিক নয়। শরীরের নানা জটিল রোগের ইঙ্গিত দেয় এই অভ্যাসটি। তাই জেনে নেওয়া জরুরি, ঘন ঘন প্রস্রাব হয় কেন?
বিজ্ঞাপন
ডায়াবেটিস
একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ ডায়াবেটিস। যেকোনো বয়সী মানুষের এই রোগ হতে পারে। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়াটাও এই রোগের লক্ষণ। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে, কিডনি এটি ফিল্টার করতে এবং অতিরিক্ত গ্লুকোজ শোষণ করতে কাজ করে। কিন্তু, কিডনি যখন এটি ধরে রাখতে অক্ষম হয়, তখন এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়।
কিডনি বা ইউরেটিক স্টোন
বিজ্ঞাপন
বার বার প্রস্রাব হওয়া কিডনি স্টোনের উপসর্গ হতে পারে। কিডনিতে পাথর হলে ঘন-ঘন প্রস্রাবের বেগ দেখা দেয়। এই সমস্যা দেখা দিলে হেলাফেলা না করে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ইউটিআই (ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন)
নারীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে পুরুষদেরও এ রোগ দেখা দিতে পারে। এই সংক্রমণের একটি লক্ষণ হলো ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। পাশাপাশি প্রস্রাব করার সময় জ্বালাও সৃষ্টি হয়।
তাই রাতের বেলায় ঘন ঘন প্রস্রাব হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।