সম্পর্কে শুরুটা হয় মধুর। সবকিছুই ভালো লাগে তখন। একে অন্যকে জানা, ভালো লাগা আদান-প্রদানে মধুর সময় কাটে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সম্পর্কে বাসা বাঁধে তিক্ততা। সৃষ্টি হয় বিচ্ছেদের। সব সম্পর্কেই যে এমন হয় তা নয়। তবে অনেক সম্পর্কেই এটি হয়ে থাকে।
একটি সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হতে পারে সেটি মানসিক কিংবা শারীরিক। দুটো মেলবন্ধনেই ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় সম্পর্ক থাকলে তাতে নেই ঘনিষ্ঠতা। এমনকি ভালোবাসার সম্পর্কে থেকেও অনেকে একাকীত্ব বা হতাশায় ভোগেন।
বিজ্ঞাপন
আপনার সম্পর্কেও কি এমনটা হচ্ছে? সঙ্গী কাছে থেকে দূরের হয়ে আছে? মূলত এমন পরিস্থিতির জন্য কিছু কারণ দায়ী। এমন কিছু কারণ চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ভরসার ঘাটতি
ভালোবাসার প্রথম স্তম্ভ বলা যায় ভরসাকে। দুজন মানুষ একে অন্যকে ভরসা করলে অনেক কঠিন পরিস্থিতিও সামলে নেওয়া যায়। নিজেদের ভুলের কারণে এই ভরসা চলে যায়। আর ভরসা চলে গেলে সম্পর্কে কোনো না কোনো সমস্যা লেগেই থাকে। ফলে, কমে আসে ঘনিষ্ঠতা। এই বিষয়টিকে খেয়াল রাখুন। ভুল বোঝাবুঝি হলে তা মিটিয়ে নিন।
সময়ের অভাব
বিজ্ঞাপন
আমাদের জীবনে সময়ের খুব অভাব। সকাল থেকে রাত অব্দি নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। বিশ্রাম নেওয়ার অবকাশও মেলে না। আর বিরামহীন এই জীবনের প্রভাব পড়ে সম্পর্কে। ব্যস্ততার কারণে সঙ্গীকে সময় দেন না অনেকে। সম্পর্কে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা কমে আসে।
সঙ্গীর ব্যাপারে উদাসীনতা
আপনি কি সঙ্গীর বিষয়ে উদাসীন? তার ব্যাপারে খুব একটা মাথা ঘামান না? এই বিষয়টি কিন্তু সম্পর্কে জটিলতা সৃষ্টি করে। আপনার উদাসীনতা সঙ্গীর মনে অনিশ্চয়তার জন্ম দেয়। এই অনিশ্চয়তাই একসময় সম্পর্কে ফাটল ধরায়।
সঙ্গীর মতকে গ্রাহ্য না করা
যেকোনো বিষয়ে আপনার যেমন মত রয়েছে। তেমনি মত থাকতে পারে আপনার সঙ্গীরও। আপনি যদি সঙ্গীর মত শুনতে না চান তবে সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তার মনে হতে পারে, তিনি ভুল সঙ্গী বেছে নিয়েছেন। তাই সঙ্গীর মতকে গুরুত্ব দিতে শিখুন।
অপরপক্ষকে দায়ী করা
জীবনে সমস্যা থাকবেই। অনেকেই সমস্যার জন্য সঙ্গীকে দায়ী করেন। এই কাজটি করলে সম্পর্কে দূরত্বের সৃষ্টি হয়। ঘনিষ্ঠতা কমে আসে ধীরে ধীরে। এমনকি এই কারণে এক সময় ভেঙে যেতে পারে সম্পর্কে।
সম্পর্কে আন্তরিক হওয়ার চেষ্টা করুন। সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখুন। সুন্দর থাকবে সম্পর্ক।
এনএম