কেউ স্বভাবে ঠান্ডা মেজাজের হন, কেউবা আবার রগচটা। কর্মক্ষেত্রে কিছুটা মানিয়ে চলতে হয়। তারপরও কারো কারোর বসের ওপর রাগ হয়। সহকর্মীর ওপর অল্পতেই মাথাগরম হয়ে যায়। কখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
কর্মক্ষেত্রে রাগারাগি হতেই পারে। তবে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে ক্ষতি কিন্তু আপনারই। রাগলে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। কাজে মন বসে না। কাজের গুণগত মানও কমে যায়। আর তাই রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি। কীভাবে সম্ভব সেটি? চলুন জানা যাক-
বিজ্ঞাপন

কথোপকথন বাড়ানোর দরকার নেই
রাগের সময় মাথা ঠিক থাকে না। এসময় মানুষ অপ্রাসঙ্গিক অনেক কথা বলে ফেলে। তাই রাগের মাথায় কোনো কথোপকথন বাড়ানোর দরকার নেই। যদি দেখেন, কারো সঙ্গে কথোপকথনের সময় রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না, তাহলে তখনই সেই কথোপকথন বন্ধ করে দিন। সামনের জন কথা না থামাতে চাইলে আপনিই চুপ করে যান।
পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন
বিজ্ঞাপন
ঠিক কোন পরিস্থিতিতে গিয়ে রেগে যাচ্ছেন, তা বোঝার চেষ্টা করুন। রাগের ‘ট্রিগার পয়েন্ট’গুলি জানা থাকলে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। যে প্রসঙ্গে কথা বললে রেগে যাচ্ছেন তা এড়িয়ে চলুন। যার সঙ্গে কথা বললে রাগ হচ্ছে তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

হাঁটুন
কোনোভাবেই যদি রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারেন তবে একটু হাঁটুন। প্রয়োজনে অফিসের বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসুন। শান্ত পরিবেশে কোথাও বসে জোরে জোরে শ্বাস নিন। এতে মাথা ঠান্ডা হবে। রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন-
শিশু কথায় কথায় রেগে যায়? জানুন শান্ত করার উপায়
রেগে গেলে মানুষ দরজা বন্ধ করে কেন?
আপনি কি হঠাৎ রেগে যান? নিয়ন্ত্রণের উপায় জানুন
রাগ পুষে রাখবেন না
মনের মধ্যে রাগ পুষে রাখবেন না। কারণ রাগ পুষে রাখলে সারাক্ষণ তা নিয়েই ভাবতে থাকবেন। নিজের এই একপেশে চিন্তায় ডুবে থাকলে ভালো কিছু ভাবার ক্ষমতাটাই না চলে যায়! তার বদলে ক্ষমা করতে শিখুন।

হাসুন
রাগ কমাতে হাসি-ঠাট্টার সাহায্য নিতে পারেন। কিংবা রাগের কথা এমন কারো সঙ্গে ভাগ করে নিন, যাকে আপনি বিশ্বাস করতে পারেন। অফিসে এমন দু-একজন মানুষ থাকেই যিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনার মেজাজ ভালো করে দিতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে এমন কোনো মানুষের সাহায্য নিতে পারেন।
এসব উপায় কাজে লাগানোর পরও যদি রাগ কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে না থাকে তবে মনোবিদের সাহায্য নিন। মন শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।
এনএম

