চুল যেন আজকাল মাথার চাইতে ঘরে, শরীরে, টেবিলে বা খাটে বেশি থাকতে পছন্দ করছে। বহু চেষ্টা করেও চুল ঝরার হার কমানো যাচ্ছে না। আসলে ঘন চুলের জন্য একটু পরিশ্রমও করতে হয়। এজন্য নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়া জরুরি।
চুলের যত্নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ স্ক্যাল্প ক্লিনজিং মানে শ্যাম্পু করা। চুলের ঘনত্ব বাড়াতে চাইলে শ্যাম্পুর সঙ্গে মেশাতে হবে নির্দিষ্ট কিছু উপাদান। এতে এক মাসের মধ্যে চুল হবে ঘন ও লম্বা। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই উপাদানগুলো সম্পর্কে-
বিজ্ঞাপন

অ্যালোভেরার রস
চুলের জন্য যে অ্যালোভেরা উপকারি একটি উপাদান তা সবার জানা। এতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা চুলের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি আর্দ্রতা ঠিক করে চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
পরিমাণমতো শ্যাম্পু নিন। এর সঙ্গে সামান্য পরিমাণ পানি মেশান। এবার অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি মিশ্রণ স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন।
বিজ্ঞাপন

এসেনশিয়াল অয়েল
এক্ষেত্রে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই উপাদান চুলের জন্যে খুবই উপকারী।
শ্যাম্পুর সঙ্গে ২-৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মেশান। এরপর সেই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন এটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে দ্রুত চুল বাড়বে।

গোলাপ জল
ত্বকের যত্নে গোলাপ জলের ভূমিকা সবার জানা। এই উপাদানটিই চুলের ঘনত্ব বাড়াতে পারে। গোলাপ জল স্ক্যাল্পের পিএইচ মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
শ্যাম্পুর সঙ্গে পরিমাণমতো গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ স্ক্যাল্পে লাগান। ৩-৪ মিনিট অপেক্ষা করার পরে চুল ধুয়ে ফেলুন।

অলিভ ও ক্যাস্টর অয়েল
চুলের যত্নে ক্যাস্টর ও অলিভ অয়েল বেশ জনপ্রিয়। এই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের হাল ফেরাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চুলের বৃদ্ধিতেও এটি বেশ কার্যকরী।
শ্যাম্পুর সঙ্গে এক চামচ অলিভ বা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ স্ক্যাল্পে লাগান। ভালো করে মাসাজ করুন। ২ মিনিট পর চুল ধুয়ে নিন। চুল বাড়বে দ্রুত।

সপ্তাহে কতদিন এই উপাদানগুলো ব্যবহার করতে হবে?
সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন এই উপাদানগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এর বেশি ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।
কতদিনের মধ্যে উপকার মিলবে?
নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিবর্তন চোখে পড়বে। বাড়বে চুলের জেল্লাও।

কারা ব্যবহার করবেন না?
স্ক্যাল্পে কোনো সমস্যা থাকলে কিংবা চুলের চিকিৎসা চললে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এসব উপাদান ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
এনএম

