বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান ধাতু সোনা। প্রায়ই ২৪ কিংবা ২২ ক্যারেটের সোনার কথা শোনা যায়। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে এই দুই ক্যারেটের স্বর্ণের মধ্যে পার্থক্য কী? কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে কোন ধরনের সোনা কিনবেন? চলুন জেনে নিই-
তার আগে চলুন জানা যাক ক্যারেট কী। ক্যারেট বলতে সোনার বিশুদ্ধতা বা খাঁটির পরিমাণ বোঝায়। অর্থাৎ, সোনায় যত বেশি ক্যারেট থাকবে তার বিশুদ্ধতা তত বেশি হবে। ০ থেকে ২৪ ক্যারেটে এই বিশুদ্ধতা পরিমাপ করা যায়। এই কারণে ২৪ ক্যারেট সোনাকেই খাঁটি সোনা বা বিশুদ্ধ সোনা বলা হয়।
বিজ্ঞাপন

২৪ ক্যারেট সোনার বিশুদ্ধতার পরিমাণ হলো ৯৯.৯%। অন্যদিকে ২২ ক্যারেট সোনা ৯১% পর্যন্ত খাঁটি বলে বিবেচিত হয়। এতে ৯% অন্যান্য ধাতু মিশ্রিত থাকে। যেমন ২২ ক্যারেটের সোনায় জিংক, কপারের মতো ধাতু পাওয়া যায়।
তবে স্থায়িত্বের প্রসঙ্গ আসলে বলা যায়, ২৪ ক্যারেটের সোনার চেয়ে ২২ ক্যারেটের সোনা বেশি টেকসই হয়। কারণ এতে অন্যান্য ধাতু মিশ্রিত থাকে।

বিজ্ঞাপন
২৪ ক্যারেট সোনা খুবই নরম হয়ে থাকে। তাই এটি দিয়ে গয়না তৈরি করা যায় না। ২৪ ক্যারেটের সোনা মূলত বিনিয়োগের জন্যই ব্যবহার করা হয়।
এই দুই ক্যাটাগরির মাঝে রয়েছে ২৩ ক্যারেটের সোনা। এই সোনার ৯৫.৮% খাঁটি বলে মনে করা হয়। বাকি ৪.২% অংশে অন্যান্য ধাতুর মিশ্রিত হয়। যারা উচ্চমানের স্বর্ণের গয়না পছন্দ করেন তারা ২৩ ক্যারেট সোনা ব্যবহার করেন।

২৪ ক্যারেট সোনার ঘনত্ব খুবই কম। এই কারণে এই সোনা খুবই নরম হয় এবং সহজে ভেঙে যায়। তাই ২৪ ক্যারেট সোনা থেকে গহনা তৈরি করা যায় না, এগুলো কেবল বিনিয়োগের কাজেই ব্যবহৃত হয়।
এনএম

