চোখ মেরে অন্য ইঙ্গিত বোঝাতে দক্ষ অনেকেই। কাউকে ভিন্ন ইশারা করতে চোখ মারা হয়। তবে এই কাজটির পেছনের কারণ কি শুরু থেকেই এমন ছিল? অতীতে কেন চোখ মারা হত? কোথায় থেকেই বা এর সূচনা? চলুন সব প্রশ্নের উত্তর জেনে নিই-
চোখ মেরে কথা লুকানোতে অনেকেই বেশ ওস্তাদ। এর ইতিহাসটিও বেশ মজার। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নর্স পুরাণের একটি কাহিনি।
বিজ্ঞাপন

নর্স পুরাণ অনুযায়ী, ওডিনের গল্পের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে চোখ মারার গল্প। এতে বর্ণিত রয়েছে, ওডিনের জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা অর্জনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল। তবে তা অর্জনের পথটা মোটেই সহজ ছিল না।
জ্ঞান আর বুদ্ধিমত্তা অর্জনের জন্য বিশেষভাবে উৎসর্গ করতে হতো নিজের দেহের অংশবিশেষ। সেই নিয়ম মানতে হয় ওডিনকেও। জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা অর্জন করতে তাকে নিজের একটি চোখ উৎসর্গ করে দিতে হয়। সেই থেকেই একটি চোখ নেই তার।

বিজ্ঞাপন
ধারণা করা হয়, নর্স পুরাণের ওডিনের থেকেই শুরু এক চোখ দেখানোর কায়দা। কালে কালেই সেটি চোখ মারায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে কোনোকিছুর মধ্যে লুকোনো গভীর অর্থ বোঝাতে এই চোখ মারার ভঙ্গি কাজে লাগানো হয়।
তবে জানলে অবাক হবেন, চোখ মারার এই ভঙ্গিরও নানা অর্থ হয়। সবসময় যে এটি দিয়ে কেবল কথার ভেতরে লুকোনো গূঢ় কথা বোঝানো হয় এমনটা নয়। এছাড়াও অন্য ইঙ্গিত থাকে এতে।

তবে সবসময় সব জায়গায় চোখ মারাকে সবাই ভালোভাবে নেয় না। এতে সমস্যায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও থাকে কিন্তু। তাই চোখ মারলে বুঝে শুনেই মারুন।
এনএম

