একজন মানুষের জীবনে বাবার অবদান কতটুকু তা কোনোভাবেই প্রকাশ করা সম্ভব না। বাবা হলেন রেলগাড়ির ইঞ্জিনের মতো। রেলগাড়ির ইঞ্জিন যেমন হাজারো বাধা অতিক্রম করে পিছনে থাকা ভারী বগিগুলোকে সামনের দিকে নিয়ে যায়, বাবাও তার জীবন উৎসর্গ করেন সন্তানের জন্য।
বাবারা নিজের জন্য ভালো পোশাক কেনেন না। সাদাসিধে পোশাকে বছর পার করে দেন। বাবারা আসলেই একটি বটবৃক্ষ। রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে সন্তানকে তার ছায়ায় আগলে রাখেন।
বিজ্ঞাপন
বাবা নামের এই বটবৃক্ষ থেকে আজ ছয়টি বছর বঞ্চিত। আমি যখন ছোট তখন বাবার কাছে টাকা চাইলেই বারান্দার খুঁটির উপর থেকে এক টাকা করে বের করে দিতেন। বাবা এক টাকার কয়েন সবসময় আমার জন্য বারান্দার জমা করে রাখতেন।
আমার বাবা আমাকে কখনো মেরে শাসন করেনি। এই জন্য বাড়ির সবাই বলতো ছোট ছেলের প্রতি তার ভালোবাসা নাকি সবচেয়ে বেশি। আসলেও সত্যি। বাবার কাছে আমি আবদার করেছি কিন্তু বাবা তা পূরণ করেনি এমনটা খুব কমই হয়েছে।
বাবাকে জড়িয়ে ধরে তার কপালে শেষবারের মতো চুমু দিয়েছিলাম হাসপাতালের আইসিইউ বেডে। তারপর আর কোনোদিন বাবাকে জড়িয়ে ধরতে পারিনি।
তার মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে বাস্তবতা কী সেটা খুব ভালভাবে বুঝতে পেরেছি। এখনো মন খারাপ হলে সবার আগে বাবার কথাই মনে পড়ে। সেই বাবাকে আমি কখনোই বলতে পারিনি, তোমাকে অনেক ভালবাসি বাবা!
বিজ্ঞাপন
লেখক: শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ, সরকারি তিতুমীর কলেজ
এনএম

