বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে ড. ইউনূসের অব্যাহতির আবেদন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২৩, ১১:২৩ এএম

শেয়ার করুন:

ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে ড. ইউনূসের অব্যাহতির আবেদন

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযোগ গঠনের পর ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে আদালত এ বিষয়ে আজ কোনো আদেশ দেয়নি। কবে আদেশ দেবেন সেটিও নির্ধারণ করেননি আদালত।

বুধবার (৭ জুন) বিষয়টি ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।


বিজ্ঞাপন


বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি থাকার কারণে ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তার আইনজীবীর মাধ্যমে হাজির দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হওয়ায় মামলাটিতে ব্যক্তিগত উপস্থিতি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করা হয়েছে।

এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার (৬ জুন) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা এ আদেশ দেন।

লেবার আইনের ৪ এর (৭) এবং (৮) ধারায় শ্রমিকদের স্থায়ী করা হয়নি এবং ১১৭ জনকে আনলিভ দেওয়া হয়নি আর ২৩৪ ধারা অনুযায়ী তাদের মুনাফার ৫ শতাংশ দেওয়া হয়নি। এ কারণে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী।

অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনিসহ চারজন বিবাদী নিজেদের নিরপরাধ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।


বিজ্ঞাপন


শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা করা হয়।

যদিও ড. ইউনূসের আইনজীবীর দাবি, আইন অনুযায়ী এসব দাবি সঠিক না। তিনি জানান, চার্জ শুনানির গ্রামীন টেলিকমের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। একটি হলো-গ্রামীণ টেলিকম তার শ্রমিকদের স্থায়ী করে না। আর একটি অভিযোগ করা হয়েছে, যে গ্রামীণ টেলিকম তাদের অর্জিত ছুটি মঞ্জুর করে না। আর সর্বশেষ ও তৃতীয় অভিযোগটি হলো মুনাফার ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, বিপরীতে আমরা অব্যাহতির পিটিশন দিয়ে বলেছি, যে গ্রামীণ টেলিকম অলাভজনক কোম্পানি যা কোম্পানির আইনে ২৮ ধারায় নিবন্ধিত হয়েছে। সেখানে সু-স্পষ্টভাবে উল্লেখ আয়ে যে মুনাফা দেওয়া নিষিদ্ধ। কারণ এ মুনাফা দিয়ে আরও বিভিন্ন কোম্পানি করে দেশের উন্নয়ন করা হয় এবং গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্পের মতোই বেকার সমস্যাকে দূর করা হয়। তার পরে আমরা শ্রমিকদের স্থায়ী করি না। গ্রামীণ টেলিকম পল্লীফোন ও নোকিয়া সেটের সঙ্গে চুক্তি করে দেশের উন্নয়ন করেছে। তার মানে আমরা তো চুক্তিভিত্তিক কাজ করি। আমরা কোন শ্রমিককে স্থায়ী করতে পারি না। আমি নিজেই চুক্তিভিত্তিক কাজ করি, আমি তো কাউকে স্থায়ী করতে পারি না।

এআইএম/এমআর 

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর