সুপ্রিম কোর্ট বারের দীর্ঘদিনের যে ঐতিহ্য সেই ঐতিহ্যে কলঙ্ক লেপন করা হয়েছে মন্তব্য করেছেন সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম। তিনি বলেছেন, এই কলঙ্ক মুছা যাবে না। কলঙ্ক মুছার কাজটা দ্রুত করা প্রয়োজন। দ্বিতীয় হচ্ছে, আমাদের ডিগনিটি অব দি লইয়ার ইম্পরট্যান্ট ফ্যাক্টর।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সদস্যদের ব্যানারে এক তলবি সাধারণ সভা ডাকা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এম আমীর উল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
সভায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১৪ সদস্যের পাল্টা অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটিতে আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদকে আহ্বায়ক এবং আইনজীবী শাহ্ আহমেদ বাদলকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
সভা থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সভায় ১৫-১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বারে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি উল্লেখ করে আগামী ১৪-১৫ জুন সমিতির নতুন এই নির্বাচনের তারিখ দেওয়া হয়।
তলবি সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, গত ১৫-১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এ কারণে ১৪ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি সমিতির সংবিধান অনুযায়ী ফরম বিতরণ করে ১৫ মের মধ্যে নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে। ১৪ ও ১৫ জুন সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা বারের সদস্যরা আজ প্রশ্ন তুলছে, সুপ্রিম কোর্ট বারের এই অবস্থাটা কী করে হলো? সুপ্রিম কোর্ট বারের দীর্ঘদিনের যে ঐতিহ্য তাতে কলঙ্ক লেপন করেছে। এই কলঙ্ক মুছা যাবে না। সেই এই কলঙ্ক মুছার কাজটা দ্রুত করা প্রয়োজন। দ্বিতীয় হচ্ছে, আমাদের ডিগনিটি অব দি লইয়ার ইম্পরট্যান্ট ফ্যাক্টর। এই ডিগনিটি সমিতির সবার জন্য আমাদের রক্ষা করতে হবে। এবং যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে আগামী নির্বাচনে আমি আশা করি সেই সংকট অতিক্রম করে আমরা একটি স্বাধীন বার প্রতিষ্ঠা করব।
বিজ্ঞাপন
এআইএম/এইউ