জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামি চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক নয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশুনানির তারিখ পিছিয়ে ২৩ মে নতুন দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান নতুন দিন ধার্য করেন।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিদের মধ্যে আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ পলাতক রয়েছেন।
অপর চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে আটক রয়েছে।
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন জঙ্গিরা। ঘটনার পরদিন সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
বিজ্ঞাপন
২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পলাতক পাঁচজনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।
এমআর
