গোলাপের মানহানির মামলা
নথি বেশি হওয়ায় জবাবে সময় লাগছে বললেন ব্যারিস্টার সুমন

মানহানির অভিযোগে সরকারদলীয় এমপি আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের করা মামলার জবাব দাখিল করতে সময় নিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
সময় নেওয়ার বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেছেন, এ মামলার প্রয়োজনীয় নথি অনেক বেশি, তাই সময় নেওয়া হয়েছে। কারণ এগুলো সংগ্রহ করতে হবে।
শনিবার (২৫ মার্চ) এমনটিই ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, গত ২৩ মার্চ এ মামলায় লিখিত জবাব দাখিল করতে সময় নিয়েছি। আমার আইনজীবীর মাধ্যমে সময়টা নেওয়া হয়েছে। আমি আদালতে উপস্থিত ছিলাম না। মামলার জবাব দাখিলের জন্য আগামী ২৩ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ঢাকার তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ মো. আমিনুল ইসলামের আদালতে এ মামলায় ব্যারিস্টার সুমনের জবাব দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন ব্যারিস্টার সুমন আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে জবাব দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মানহানির অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৭ জানুয়ারি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ফেসবুকে সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ সম্পর্কে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রচার করেন। তিনি প্রচার করেন যে, গোলাপ ২০১৪-২০১৫ সালে সংসদ সদস্য হয়ে অর্থ পাচার (মানি লন্ডারিং) করেছেন। ব্যারিস্টার সুমনের এই বক্তব্য সত্য নয়। গোলাপ সংসদ সদস্য হয়েছেন ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে। সংসদ সদস্য হওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বাড়ি কেনেননি। ১৯৮৫ সালে উচ্চতর শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান গোলাপ। সেখানে লেখাপড়া শেষ করে উচ্চ বেতনে চাকরি করেন। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি মার্কিন পাসপোর্ট সমর্পণ (সারেন্ডার) করেন। তারপর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার কোনো আর্থিক লেনদেন নেই। সংসদ সদস্য হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি কেনার তথ্য বিবাদীর মনগড়া বক্তব্য।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ফেসবুকে সরব থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে থাকেন।
এআইএম/এমএইচএম