রাজধানীর শাহবাগ থানা পুলিশের মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের নিয়মিত সদস্য অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন রিগ্যান।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ মার্চ) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।
বিজ্ঞাপন
অ্যাডভোকেট তাহেরা খাতুন, ফারজানা ইয়াসমিনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আদালতে তার জামিন আবেদন করেছিলেন।
জামিন মঞ্জুরের পর আদালত থেকে বেরিয়ে তাহেরা খাতুন বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় রিগ্যানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিগ্যানকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে তার জামিনের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরি।
>> আরও পড়ুন: আত্মসমর্পণ করতেই হবে হেলেনাকে
এই আইনজীবী বলেন, রিগ্যান সুপ্রিম কোর্ট বার ও ঢাকা বারের একজন নিয়মিত সদস্য। তিনি জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলএম প্রোগ্রামের ব্যাংকিং ল’ অ্যান্ড কর্পোরেট পলিসি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী। আগামী ২৪ মার্চ তার দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
বিজ্ঞাপন
অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন রিগ্যানের স্ত্রী অ্যাডভোকেট তাহেরা খাতুন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রিগ্যান দেশের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে সমালোচনা করে লেখালেখি করেন। যে কারণে তাকে অনেকে সরকারবিরোধী মনে করে। কিন্তু সে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে এমপি পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থেকেও তাকে ওপর মহলের নির্দেশে এই মামলায় আসামি করা হয়।
এর আগে গত ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে ভাঙচুরের ঘটনায় রিগ্যানের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান একটি মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর দোয়েল চত্বর থেকে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। পরদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ রিগ্যানকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এরপর আদালত প্রথমে তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলেও পরে আদেশ রিকল করে রিমান্ড বাতিল করে আদেশ দেন। সেই সঙ্গে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
>> আরও পড়ুন: ১৬ জনকে সহকারী বেঞ্চ অফিসার হিসেবে পদোন্নতি
এছাড়াও গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাদী হয়ে অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন রিগ্যানসহ বিএনপি-জামায়াতপন্থী ৩৫০ আইনজীবীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করে। এতে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
অ্যাডভোকেট রিগ্যান কী পরীক্ষায় বসতে পারবেন- এমন শিরোনামে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন রিগ্যান জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলএম প্রোগ্রামের ব্যাংকিং ল’ অ্যান্ড কর্পোরেট পলিসি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী। আগামী ২৪ মার্চ তার দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হবে। কিন্তু সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে সংঘটিত ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে আইনজীবী সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসানের দায়ের করা মামলায় তাকে আসামি করা হয়। মামলায় সমিতির নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছিনতাই, হট্টগোলের অভিযোগ করা হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর দোয়েল চত্বর থেকে ডিবি পুলিশ রিগ্যানকে আটক করে।
এআইএম/আইএইচ