শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

ফারদিন হত্যা মামলায় বুশরার স্থায়ী জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৩, ০২:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

ফারদিন হত্যা মামলায় বুশরার স্থায়ী জামিন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. শান্ত ইসলাম মল্লিক তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।


বিজ্ঞাপন


এর আগে আদালতে বুশরার স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

আজ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। মামলার বাদী ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানার আইনজীবী নারাজি দেওয়ার জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি বুশরাকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার। পরবর্তীতে ৮ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত বুশরার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

গত বছরের ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। এর আগে ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন তিনি। মরদেহের ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা বলেন, ‘তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’


বিজ্ঞাপন


১০ নভেম্বর ফারদিনকে খুন করা হয়েছে অভিযোগ তুলে রামপুরা থানায় মামলা করেন তার বাবা নূর উদ্দিন। সেই মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয় আমাতুল্লাহ বুশরাকে। ওই দিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়া হয় বুশরাকে। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার তদন্তভার পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওপর ন্যস্ত করা হয়। এরপর মাদকসংশ্লিষ্টতা, মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে খুন, কিশোর গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতার বিষয় সামনে আসে। সর্বশেষ তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডিবি ও র‌্যাব জানায়, স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ বা আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন। ডিবি পুলিশ জানায়, ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় জেলে থাকা বুশরা নির্দোষ।

ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বিজনেস পত্রিকা দ্য রিভারাইন’র সম্পাদক ও প্রকাশক। তিনি দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন। ফারদিনের মা ফারহানা ইয়াসমিন গৃহিণী। তাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার নয়ামাটিতে। তিন ভাইয়ের মধ্যে ফারদিন ছিলেন সবার বড়।

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর