বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বেঙ্গল সায়েন্টিফিককে কালো তালিকাভুক্তির আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

বেঙ্গল সায়েন্টিফিককে কালো তালিকাভুক্তির আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত

দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মেডিকেল উপকরণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। ৬ মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দুদক ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের আদেশ কেন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন। বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী জাহের উদ্দিন সরকার ও নুসরাত জাহান রত্নার করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।


বিজ্ঞাপন


রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল সিনিয়র আইনজীবী মুরাদ রেজা, অ্যাডভোকেট মো. রোকনুজ্জামান প্রিন্স, মিল্টন দাস ও স্বপ্নীল ভট্টাচার্য। দুদকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

আদেশের পর অ্যাডভোকেট মো. রোকনুজ্জামান প্রিন্স জানান, কালো তালিকাভুক্তির আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনায় কোনো বাঁধা নেই।

আইনজীবী জানান, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানি দীর্ঘদিন বাংলাদেশে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। এই কোম্পানিটি এর আগে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, ইকো, ব্লাড গ্যাস এনালাইজার মেসিনসহ একহাজারের বেশি উপকরণ সরবরাহ করেছে। বিভিন্ন নামিদামী কোম্পানির প্রস্তুতকৃত এসব মেশিনারিজ যথাযথভাবে সচল রয়েছে। কিন্তু দুদক ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করতে মন্ত্রী পরিষদ সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরকে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির নাম যুক্ত করা হয় উদ্দেশ্যমূলকভাবে।

এরপর স্বাস্থ্য অধিদফতর বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি আদেশ জারি করে। দুদক ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। এই রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট দুদক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশের কার্যকারিতা ছয়মাসের জন্য স্থগিত করেছেন এবং রুল জারি করেছেন।


বিজ্ঞাপন


এআইএম/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর