শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ফখরুল-আব্বাসের স্থায়ী জামিন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:৩১ পিএম

শেয়ার করুন:

ফখরুল-আব্বাসের স্থায়ী জামিন

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে স্থায়ী জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এমন আদেশ দেন আদালত। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন।


বিজ্ঞাপন


এর আগে গত ৮ জানুয়ারি সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তির আদেশ দেন। সেই আদেশ অনুযায়ী শুনানি শেষে আজ আদালত রুল নিষ্পত্তি করে বিএনপি এই দুই নেতাকে স্থায়ী জামিন দেন।

এদিন আদালতের কার্যতালিকায় এক নম্বর আইটেমে ছিল ফখরুল ও আব্বাসের জামিন শুনানি। সকাল ৯টার পরেই জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়। ৯টা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত শুনানি করা হয় এই দুই নেতার জামিন আবেদন। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।

তারও আগে গত ৪ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটায় বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি করে রোববার পর্যন্ত কারাগারে তাদের জামিন নামা দাখিল না করতে নির্দেশ দেন। চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের আদালত এই আদেশ দিয়েছিলেন।

আদেশে চেম্বার আদালত বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের বিষয় কোনো জামিননামা দাখিল করা যাবে না। রোববার এই বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।


বিজ্ঞাপন


ওইদিন সকালে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আটকাতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে বিচারিক আদালতে চার দফা জামিন নাকচ হওয়ার পর ২ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাদের আইনজীবীরা। পরদিন ৩ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানি করে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে জমায়েত হওয়া দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অনেকে আহত হন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়ার অভিযোগ তুলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় দলটির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে। সেদিন ফখরুলকে গ্রেফতার করা না হলেও পরদিন রাতে বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। সেই রাতে আটক করা হয় মির্জা আব্বাসকেও।

পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলা ও উস্কানি দেওয়ার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে পাঠানো হয় আদালতে। আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন হলেও তা নাকচ করে পাঠানো হয় কারাগারে। এরপর আরও তিন দফা নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর করা হয় তাদের। পরে তাদের জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়।

এআইএম/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর