সারাদেশে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন ছিনতাই ও চুরির খবর পাওয়া যায়। চুরি ও ছিনতাই করা এসব মোবাইল একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরেই আইএমআই বদলে করে দেশ ও দেশের বাহিরে বিক্রি করে আসছিল। যা বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে। কিন্তু এবার একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকার তথ্য। তা হলো, চুরি ও ছিনতাই হওয়া মোবাইলগুলোর আইএমইআই বদল করার জন্য চক্রটি একটি অ্যাপস ব্যবহার করত। যার মাধ্যমে খুব সহজেই আইএমইআই বদল করতে পারত তারা। অ্যাপসের মাধ্যমে আইএমইআই বদল করে তারা এসব মোবাইল বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ও দোকানে বিক্রি করত।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- রাসেল (৩১), কবির (২৫) ও সিয়াম। এসময় তাদের কাছ থেকে ১১০টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটারের সিপিইউ, দুইটি এসএসডি ড্রাইভ জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা।
উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, চক্রটি বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও চুরি হওয়া মোবাইলগুলো সংগ্রহ করে অ্যাপসের মাধ্যমে মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে পুনরায় বিক্রি করত। চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা আরও বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল রাসেল বিভিন্ন ব্যক্তির চুরি ও ছিনতাই হওয়া ফোনের আইএমইআই নম্বর বদল করছে। পরে সেগুলো অন্যখানে বিক্রিও করেছে। এমন খবর পাওয়ার পার তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ ৬টি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ পাওয়া যায়। ল্যাপটপ ও মোবাইলের অ্যাপসের মাধ্যমে চোরাই মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করত সে। তাকে ধরার পর আরও দুজনের নাম পাওয়া যায়। তারা হলেন- করিব ও সিয়াম। পরে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে গ্রেফতারের সময় ১০৪ টি মোবাইল ও হার্ডডিস্ক উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
চুরি ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর বদল করার কাজটি রাসেল গত দেড় বছর থেকে করে আসছিল বলে দাবি করেন তিনি।
উপ-পুলিশ কমিশনার জসীম উদ্দীন মোল্লা আরও বলেন, মিরপুর বিভাগের থানাগুলোতে মেসেজ দেওয়া হয়েছে। যাতে বিভিন্ন সময়ে মোবাইল চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের হওয়া জিডিগুলো যাচাই করে মোবাইল ফেরত দেওয়া হয়।
এমআইকে/এমএইচএম