শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:১৯ এএম

শেয়ার করুন:

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আর সে সময় পর্যন্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরীর জামিনও স্থগিত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মুজীবুর রহমান সম্রাট সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।


বিজ্ঞাপন


এর আগে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন আসামি আশিষ রায় চৌধুরী। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে চেম্বার আদালত তা স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রামস ক্লাবের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ওই ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকি ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর রিট করেন।

রিটের প্রেক্ষিতে ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। তবে রুল নিষ্পত্তি করে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন আদালত। এতে মামলার বিচার কার্যক্রম চলতে আইনত আর কোনো বাধা থাকে না। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ওই রায়ের কপি আর নিম্ন আদালতে পৌঁছায়নি। ফলে শুরু হয়নি বিচারকাজ।

এদিকে বিষয়টির অনুসন্ধান শেষে গত বছরের ২৩ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। আর সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইয়া রাসেল। তবে জবাব না পেয়ে রিট করেন তিনি। ওই রিটের পর মামলার নথি খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপরই ফাইল চলে যায় বিচারিক আদালতে। শুরু হয় বিচার কাজ। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। 


বিজ্ঞাপন


এআইএম/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর