চেকের মামলায় প্রত্যেক আরজিতে টাকা লেনদেনের ঘটনায় তারিখ ও সাক্ষী থাকতে হবে মর্মে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট আইনের ধারা ৪৩-এর কনসিডারেশনের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
রায়ে আদালত আরও বলেন, বিচারিক আদালতকে চেকের মামলায় কনসিডারেশনের বিষয়ে আরও বিশদভাবে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি আইনজীবীদেরও মামলার আরজিতে চেক ও ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে। তা সাক্ষী দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে এক আপিল শুনানি করে বিচারপতি মো. সরওয়ার্দীর একক বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আপিলকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুদীপ্ত অর্জুন ও সৈয়দ ফজলে এলাহী অভি। অপরদিকে বাদীপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও জাহাঙ্গীর হোসেন।
আদালত থেকে বেরিয়ে আইনজীবী সৈয়দ ফজলে এলাহী অভি জানান, এর আগে ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনজীবী এইচ এম ইরশাদুল হকের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের জরিমানার রায় স্থগিত করে অ্যাডভোকেট ইরশাদুল হককে এক বছরের জামিন দেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার নথিসমূহ তলব করা হয়।
সিলেটের রুহি জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মানিক মিয়া ৫ লাখ টাকা আদায়ে ইরশাদুল হকের বিরুদ্ধে সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি ইরশাদুল হক এক মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার প্রতিত্রুতি দিয়ে ৫ লাখ টাকা ধার নেন। কিন্তু পরবর্তীতে ধারের টাকা ফেরত দেননি। এজন্য টাকা আদায়ের জন্য তিনি মামলা করেন। সেই মামলায় ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি এইচ এম ইরশাদুলকে ১০ লাখ টাকার জরিমানা ও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। শুনানি শেষে আজ আদালত আসামি ইরশাদুল হকের আপিল গ্রহণ করে খালাস দেন। পাশাপাশি ইরশাদুল হকের কাছ থেকে নেওয়া আড়াই লাখ টাকা বিচারিক আদালত থেকে ফেরতের নির্দেশ দেন।
এআইএম/এইউ

