শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

রাগ-অভিমান হলেও বার-বেঞ্চের সম্পর্ক অটলে গুরুত্বারোপ আইনমন্ত্রীর

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

রাগ-অভিমান হলেও বার-বেঞ্চের সম্পর্ক অটলে গুরুত্বারোপ আইনমন্ত্রীর

ন্যায়বিচার আনতে হলে বারের সঙ্গে বেঞ্চের সুসম্পর্ক রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেছেন, বার ও বেঞ্চ একটি পরিবারের দুটি সন্তান। বার ও বেঞ্চের মধ্য রাগ হবে, ঝগড়া হবে, অভিমান হবে। তবে সম্পর্কটা অটল থাকবে।


বিজ্ঞাপন


বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে বিচারক ও আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অগণিত বিচারপ্রার্থী বার ও বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে আছে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, তাদের ন্যায়বিচার আনতে হলে আমাদের মধ্য সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এজন্যই বলছি, এক পরিবারে দুই সন্তানের মধ্য বিরোধ থাকলেও অনেক সময় ভুলে যেতে হয়।

minister-3

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আমরা ৪১ সালে উন্নত দেশ হয়ে ছাড়ব। ২০২১ সালে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে দেখিয়ে দিয়েছি, ২০৪১ সালের মধ্যেই আমরা উন্নত দেশ হব। এরইমধ্যে ২১০০ সালের একটি পরিকল্পনাও দিয়েছেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন বিদেশি ঋণ ছাড়াই দেশের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু হতে পারে। এটাই হচ্ছে তার গভীর ভালোবাসা। বাংলাদেশকে অপমান করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার জন্য অনেক অপচেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা আছে বলেই সে অমর্যাদাগুলো সত্য হয়নি।

আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, বাঙালিদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। ভবিষ্যতে আমরা কী করব, তার পরিকল্পনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি গণপরিষদ গঠন করেছিলেন। আদালত, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থীদের প্রতি তার শ্রদ্ধা ও স্নেহ জন্মায়। তিনি জানতেন একটা দেশকে চালাতে হলে একটা সংবিধান প্রয়োজন। দেশ যারা পরিচালনা করবে তারা কে, কিভাবে তাদের হাতে আইন থাকবে তার নির্ণায়ক হচ্ছে সংবিধান। তা গণপরিষদে পাস করান তিনি। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর তা কার্যকর হয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের সংবিধান উপহার দিয়েছেন। আইনের বৃক্ষ রোপন করে দিয়েছেন।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৫ সালে সারা বাংলাদেশের ৬১টি আদালতে বোমাবাজি করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তার কোনো মামলা হয়নি। এখন দেশের চিত্র পরিবর্তন হয়েছে। দেশে পদ পরিবর্তন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষতায় দেশ এগিয়ে চলছে এবং এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

minister-2

নাটোর আইনজীবী সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন টগরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি, নাটোর-২ (নাটোর সদর-নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাস শিমুল, নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বকুল।

আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরি জলি, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার প্রমুখ।

প্রতিনিধি/এমএইচএম/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর