শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

এভাবে দুর্নীতি হলে দেশ টিকবে না, কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ প্রসঙ্গে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

এভাবে দুর্নীতি হলে দেশ টিকবে না, কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ প্রসঙ্গে

সারাদেশের কারাগারগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়ে আজ হাইকোর্টে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে এজলাসে আসেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। বেলা ১১টার দিকে তিনি এজলাসে হাজির হলে তার পক্ষে আদালতের শুনানি করতে আসেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এছাড়া রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিন।
 
শুনানির শুরুতে আদালত ডিজিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্বাস্থ্য সেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। কারাগারে মানুষের চিকিৎসার অধিকার আছে। বারবার বলার পরেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মাই লর্ড ডাক্তার নিয়োগ পাওয়ার পরই তাদের নিয়োগ দেওয়া যায় না। প্রথমে একজন ডাক্তার নিয়োগ পেলে তাকে প্রশিক্ষণ দিতে হয়। এরপর কাজ উপযোগী হলে জায়গায় পোস্টিং দেওয়া হয়।

অ্যাটর্নি জেনারেলকে থামিয়ে দিয়ে আদালত বলেন, আমাদের কাউকে ডাকতে লজ্জা লাগে। ডিজি সাহেব এবং তার অবস্থান দেখে তাদের ডাকার বিষয়টি লজ্জা লাগে। আপনি অ্যাটর্নি জেনারেল আপনারও ভূমিকা আছে চিকিৎসার বিষয়ে। আমরা কোর্টে বসি এখানে অপেন জায়গা, সবাই আসে আমাদের কাছে। আমাদের অনেক কিছু ফেস করতে হয়। কোনো কাজের গাফিলতির জন্য আমরা কাউকে সহজেই ডাকতে চাই না। আমরা অপারগ হয়ে কাউকে ডাকি।
 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসার কথা তুলে ধরে আদালত বলেন, বঙ্গবন্ধুতেও চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। আমি নিজে ভুক্তভোগী। সরকার সব খাতেই টাকা দেয়। ফরিদপুর মেডিকেলের কথা চিন্তা করেন। দুর্নীতি সহণীয় পর্যায়ে নেই। দুদককে এ বিষয়টি দেখার জন্য পাঠানো হয়েছে। তারা কী করছে তা আল্লাই জানে। চিকিৎসা খাতে এভাবে দুর্নীতি হলে দেশ টিকবে না।
 
আদালত আরও বলেন, বিদেশিরা দেশ চালায় না। আমরা দেশ চালাই। এরপর জিডির পক্ষে আদালতে জানানো হয় এখন পর্যন্ত ১৪১ জনের মধ্যে ১৩৬ জন চিকিসৎসক কাজে যোগদান করেছেন। 
এরপর আদালত ডিজিকে ডাকেন। 


বিজ্ঞাপন


ডিজিকে বলেন, ডাক্তারি মহান পেশা। তারা সার্ভিস দেয়। অজস্র পরিশ্রম করে। তারপরেও ডিজি হিসেবে আপনার দায়িত্ব আছে। আপনি বিষয়টি দেখেন। সরকার কিন্তু ফান্ড কম দেয় না। সরকার অনেক বাজেট দেয়। দেশ কিন্তু বিদেশিরা চালায় না। 
 
এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল অন্য আদালতে চলে যান। পরে ডিজি এজলাসে আসেন। এজলাসে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, আমার চাকরির মেয়াদ শেষ। আমি চলে গিয়েছিলাম। এরপর প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় বারের মতো আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। আমি এসে আবার নতুন করে কাজ শুরু করেছি। কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগে আমার কোনো গাফিলতি ছিল না। অপ্রত্যাশিত। 

তখন বিচারপতি বলেন, আপনারা এজি অফিসের সঙ্গে নিয়মিত আপডেট রাখবেন। আপনাদের পেশা মহান। এরপর ডিজি আদালতের কাছে ক্ষমা চান। পরে আগামী মাসের মধ্যে সারাদেশের কারাগারগুলোতে চিকিসৎসক নিয়োগ চূড়ান্তের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে।

এআইএম/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর