মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪, ঢাকা

আইনজীবীদের কড়া বার্তা দিল হাইকোর্ট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

আইনজীবীদের কড়া বার্তা দিল হাইকোর্ট

সকালেই হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২১ আইনজীবী। এদিন তাদের তলব অনুযায়ী হাজিরের দিন নির্ধারণ ছিল। জেলা জজ বেগম শারমিন নিগারের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়ার বিষয়ে ব্যখা দিতে হাইকোর্টে এসেছিলেন।

শুনানিতে আদালত বলেছেন, সেদিন আইনজীবীদের ভাষা ছিল অশ্লীল। অল্প শিক্ষিত মানুষ এমনকি কমলাপুরের কুলিরাও এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করে না।


বিজ্ঞাপন


এ সময় উচ্চ আদালতের ক্ষমতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আদালত বলেন, দেশের আইনজীবীদের হাইকোর্টের মেসেজ জানিয়ে দেবেন— আদালত অবমনা করলে, বিচারকদের সঙ্গে অসদাচারণ করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা কিন্তু আইনজীবীদের সনদ আজীবনের জন্য বাতিল করতে পারি। আবার নমনীয়ও হতে পারি। এটাই আমাদের মেসেজ।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

তলব করা আইনজীবীরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. মফিজুর রহমান বাবুল, অ্যাডভোকেট মিনহাজুল ইসলাম, এমদাদুল হক হাদি, নিজামুদ্দিন খান রানা, আনিছুর রহমান মঞ্জু, মো. জুম্মন চৌধুরী, রাশেদ মিয়া হাজারী, জাহের আলী, মো. আ. আজিজ খান, দেওয়ান ইফতেখার রেজা রাসেল, মো. ছদর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রনি, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আরিফুল হক মাসুদ, মীর মোহাম্মদ রাইসুল আহম্মেদ, মহিবুর রহমান, মো. জাকারিয়া আহমেদ, মো. মোবারক উল্লা, মো. ফারুক আহমেদ, সফিক আহমেদ ও ইকবাল হোসেন।

আজ তাদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকিরসহ সিনিয়র আইনজীবীরা।


বিজ্ঞাপন


তারা আদালতে বলেন, আমরা সময় প্রার্থনা করছি। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার দুটি ঘটনায় জারি করা রুলের বিষয়ে আমরা একসঙ্গে শুনানি করতে চাই।

তখন হাইকোর্ট বলেন, দুটো ঘটনা তো আলাদা। ওটা (আদালতের ভেতরের ঘটনা) ছিল বেয়াদবি। আজকে যারা হাজির হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিন্ন। তারা অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেছেন।

এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, জুডিশিয়ারি আমাদের সবার। জুডিশিয়ারির মর্যাদা রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের সবার।

এআইএম/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর