রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপির) কার্যালয়ে অভিযান ছাড়াও নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণসহ বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী হত্যা ও গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী এবং মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এক যৌথ বিবৃতিত এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে তারা বলেন, বিনা উস্কানীতে এ ধরনের বর্বরোচিত ও কাপুরুষোচিত হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। শুধুমাত্র বিরোধী দলকে দমন করার জন্য এই ঘৃণ্য ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করার পাশাপাশি কর্মী হত্যার জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে গ্রেফতারদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিভাগীয় সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপি সেখানে সমাবেশ করবে না বলে জানিয়েছে। তৃতীয় কোনো ভেন্যুর বিষয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পুরান ঢাকার ধূপখোলা মাঠের কথাও আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যেই বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। দুপুরের দিকে সেখানে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ওই সময় নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে রায়টকার দিয়ে মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আরও জোড়ালো হয়। এতে পুরো এলাকা যেন রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এ সময় স্লোগান দিয়ে পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে নয়াপল্টন থেকে ফকিরাপুল মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে দলীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকা। সেই সঙ্গে কার্যালয়ের মধ্যে আটকা পড়েন রুহুল কবির রিজভীসহ আরও অনেক নেতাকর্মী।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, বুধবার বিকেলের ওই সংঘর্ষের পর নয়াপল্টন কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে একে একে অবরুদ্ধ নেতাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ বিএনপির।
অন্যদিকে, বুধবার রাত পৌনে ৮টা অবধি বিএনপি কার্যালয়ের সামনের রাস্তাসহ পল্টন এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি দেখা গেছে। সেই সঙ্গে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এই এলাকায় মোতায়েন রয়েছে।
এআইএম/আইএইচ