শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আসামির তথ্য গোপনে আইনজীবীকে সতর্ক, আদেশ আজ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০১:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

আসামির তথ্য গোপনে আইনজীবীকে সতর্ক, আদেশ আজ

জামিন আবেদনে তথ্য গোপনে আইনজীবীকে সতর্কের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য আজকের দিন ধার্য রেখেছেন আদালত। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই বিষয়ে আদেশ দেবেন। 

ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।


বিজ্ঞাপন


এর আগে গতকাল মঙ্গলবার অর্থ পাচারের অভিযোগের মামলায় আসামির জামিন আবেদনে তথ্য গোপন করায় উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারিয়া বিনতে আলমকে সতর্ক করেন আদালত।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) শুনানির সময় বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন উষ্মা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে কোর্ট সময়ের আগেই আসামি আবু আহমেদকে হাজির করতে বলা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আসামিকে হাজির করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই মামলাটি শুনানির জন্য আদালতের তালিকায় আসবে।

তিনি বলেন, এই মামলায় বিচারিক আদালতে আসামিকে হাজিরের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু আসামি হাজির হননি। এমন তথ্য গোপন করা হয়েছে। আদালত বুঝতে পেরে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারিয়া বিনতে আলমের ওপর রাগ করেন। ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এসময় তাকে সতর্কও করেন।

ওইদিন ২৪০ কোটি ৫ লাখ ১৬০ টাকা পাচারের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবু আহমদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া তাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এর আগে গতকাল ২৪০ কোটি ৫ লাখ ১৬০ টাকা পাচারের মামলায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবু আহমেদ জামিন আবেদন করেন। বিচারিক আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। জামিন আবেদনে এমন তথ্য গোপন করা হয়।

মঙ্গলবার আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২৪০ কোটি ৫ লাখ ১৬০ টাকা পাচারের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবু আহমদসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ কোতয়ালি থানায় মামলা করে সিআইডি।

বিএফআইইউ থেকে প্রাপ্ত ব্যাংক হিসাব বিবরণী, কাগজপত্র পর্যালোচনা, লেনদেনের ধরণ এবং আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় আসামিরা একে অপরের সহায়তায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েকটি ব্যাংক হিসাব নম্বরে ১২ বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্বর্ণ চোরাচালান, চোরাই ও অন্যান্য দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসা ও হুন্ডির মাধ্যমে ২৪০ কোটি ৫ লাখ ১৬০ টাকার পাচারের অর্থ দিয়ে গাড়ি, বাড়ি ও মার্কেটসহ বিভিন্ন সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়।

এআইএম/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর