মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ওয়াসার তাকসিমের নিয়োগের বৈধতা নিয়ে আদেশ আজ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:৫১ এএম

শেয়ার করুন:

ওয়াসার তাকসিমের নিয়োগের বৈধতা নিয়ে আদেশ আজ

ঢাকা ওয়াসার মহাব্যবস্থাপক (এমডি) হিসেবে তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের আদেশ ঘোষণা করা হবে আজ।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেবেন। 


বিজ্ঞাপন


এটি আজকের তালিকায় ২৮ নং আইটেম হিসেবে রাখা হয়েছে। দুপুর ২টায় এই রিটের আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

এর আগে গতকাল ৫ ডিসেম্বর ওই রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এছাড়া ওয়াসার পক্ষে রিটের শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাছুম।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন ব্যারিস্টার সুমন।

রিটের পর ব্যারিস্টার সুমন জানান, এই পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাকসিম এ খানের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। এছাড়াও নিয়োগ পরীক্ষার নম্বরপত্রে ঘষামাজা করা হয়েছে। এ ধরনের দায়িত্বে নিয়োগ পেতে পয়ঃনিষ্কাশন বিষয়ে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। তার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।


বিজ্ঞাপন


রিটকারী এই আইনজীবী বলেন, ‘ওয়াসার এমডি গত ১৩ বছর ধরে পদে আছেন। অথচ একটি পদে স্বাভাবিকভাবে ৫ বছর, তার বেশি আমাদের ইতিহাসে নাই। ২০০৯ সাল থেকে তিনি একই পদে আছেন। তার সময়ে পানির দাম ৬ টাকা থেকে এখন ১৫ টাকা ইউনিটপ্রতি হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার অভিযোগ বিভিন্ন পত্রিকায় উঠে এসেছে। তারপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন।’

২০০৯ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় নম্বরে ঘষামাজা করে তাকসিমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে আইনজীবী সুমন বলেন, ‘ওয়াসার এমডি হতে হলে যে ধরনের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, সেটা ছিল না। কম করে হলেও ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার দরকার, সেটা কিন্তু ছিল না। তারপরও তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরপর সেই মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে। তার নিয়োগপত্রে যা লেখা আছে তা পৃথিবীর কোনো লোকের নিয়োগপত্রে এমন লেখা নেই।’

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘তার নিয়োগপত্রে লেখা হয়েছে ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকালে পরীক্ষা ও নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর মানেই বোঝা যাচ্ছে দুই নম্বরি হয়েছে। এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। এ জন্যই আমরা তার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়েছি।’

নানা সময় আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছেন তাকসিম এ খান। ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে রয়েছেন তিনি। প্রথম নিয়োগের পর থেকে ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে জাল-জালিয়াতি করে নিয়োগ ও অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উঠলে গত ১৭ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের ১৩ বছরের বেতন-ভাতার হিসেব জানতে চায় হাইকোর্ট। পরে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকা ওয়াসা জানায়, বিগত ১৩ বছরে বেতন-ভাতা বাবদ ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯২ টাকা নিয়েছেন তাকসিম।

এর প্রেক্ষিতে জমা দেওয়া প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকসিম এ খান বেতন, উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, আপ্যায়নসহ চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯২ টাকা নিয়েছেন।

এআইএম/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর