সরকারি কাজে বাধা ও ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকসহ নবাবগঞ্জ ও দোহার থানা বিএনপির ১১৫ নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এদের মধ্যে নবাবগঞ্জ থানা বিএনপির ৭৫ নেতাকর্মী ও দোহার থানার ৪০ জন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। তাদের আগামী ৬ সপ্তাহের জন্য জামিন দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন গাজী কামরুল ইসলাম সজল। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল জব্বার ভূইয়া, বিএনপিপন্থি আইনজীবী মুহাম্মাদ আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।
এসব মামলার বিবরণে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদল নেতা নয়নের মৃত্যুর প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল করা হয়। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক নেতৃত্ব দেন। এ সময় ককটেল বোমা, লাঠি-সোটা, ইটের টুকরা ও টায়ারে আগুন জ্বালানো হয়। দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ রাস্তায় যানবাহন ও লোকজনের চলাচলে বাঁধা দিয়া রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়। এমন সংবাদে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে বর্নিত স্থানে পুলিশের অভিযান চালায়। ঘটনার দিন ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়া পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। রাস্তায় টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে আসামিরা মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। তখন ঘটনাস্থল ও আশপাশে চলাচলকারী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আসামিরা রাস্তায় চলাচলকারী কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় ২৩ নভেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা করে।
এদিকে ২৪ নভেম্বর সরকারবিরোধী আন্দোলনের অভিযোগে ঢাকার দোহার থানায় আরেকটি মামলা করে পুলিশ। উভয় মামলাতে আজ আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন।
বিজ্ঞাপন
এআইএম/এমআর
