রাজবাড়ীর সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের শুনানি পিছিয়ে স্ট্যান্ডওভার করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুই মাস পর স্মৃতির জামিন আবেদনের বিষয়টি শুনানি হবে বলেও জানা গেছে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) স্মৃতির জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ফলে আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে তাকে।
বিজ্ঞাপন
এদিন আদালতে স্মৃতির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি আদেশের বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছেন। আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস বলেন, দুই মাস পর আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসবে। এ সময় পর্যন্ত তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
এর আগে গত সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সোনিয়াকে জামিন দেন। সেই জামিন আদেশ আটকাতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এর আগে গত ৪ অক্টোবর গুজব ছড়ানোর অভিযোগে সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে রাজবাড়ী পৌরসভার বেড়াডাঙ্গা এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোনিয়া আক্তার স্মৃতি রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর বেড়াডাঙ্গা এলাকার মো. খোকনের স্ত্রী।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. সামসুল আরেফিন চৌধুরী রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই এজাহারের প্রেক্ষিতে রাজবাড়ী সদর থানায় দণ্ডবিধির ১৫৩ ও ৫০৫ ধারায় মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে মিথ্যা, বানোয়াটম মানহানিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম/ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করেন।
এআইএম/এইউ