শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সালাম মুর্শেদীর বাড়ি নিয়ে শুনানিতে যা হলো

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২২, ০২:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

সালাম মুর্শেদীর বাড়ি নিয়ে শুনানিতে যা হলো

সকাল ১১টার দিকে শুনানি শুরু হয় খুলনা-৪ আসনের এমপি সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ির নিয়ে। রোববার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।

শুনানির শুরুতে আদালতের এজলাসে আসেন সালাম মুর্শেদীর আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।   


বিজ্ঞাপন


তিনি আদালতে বলেন, সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ির বিষয়ে আপনারা প্রয়োজনীয় নথিপত্র চেয়েছিলেন। আমরা এনিয়ে একটি অ্যাফিডেবিট দিয়েছি। এতে এ সম্পদটি কীভাবে পেয়েছি তা লিখেছি। আমার নেওয়া সম্পদটি কিনেছি। বাড়িটি গুলশানের ১০৩ ও ১০৪ নম্বর দাগে অবস্থিত। ১০৪ প্লট সম্পর্কে আমি জানি না। ১০৩ এ আমার প্লট। পাশের প্লটের ওপরভিত্তি করে আমি জবাবদিহি করতে পারি না। 

এরপর এজলাসে আসেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউকের) আইনজীবী। তিনি তাদের অ্যাফিডেভিট আদালতে দাখিল করেন। পরে রিটকারী ব্যারিস্টার সুমনের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক আদালতকে বলেন, সালাম মুর্শেদী কিনেছেন ১০৩, কিন্তু পার্লামেন্টে দেখিয়েছেন ১০৪। এরপর তিনি তার নথি আদালতে দাখিল করেন।

গণপূর্তের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন আদালতের কাছে সময় চান। তিনি আদালতের কাছে সময় চেয়ে বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় পর্যন্ত সময় চাই। এরপর আদালত ওইদিন পর্যন্ত সময় দেন।  
 
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে পরিত্যক্ত বাড়ি দখলের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে আজ রোববার (২৭ নভেম্বর) রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
 
তিনি বাড়িটি নিয়ে গত ১১ আগস্ট ‘চিঠিটির তথ্য যাচাইয়ের পর পরিত্যক্ত বাড়ি দখলের অভিযোগ অনুসন্ধান করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গত ১১ আগস্ট দুদকে আবেদন করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত দুদক দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিট করেছি। চলতি সপ্তাহে এখতিয়ার-সম্পন্ন বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।’
 
সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদী এনভয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ছিলেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে ২০১৮ সালে তিনি খুলনা-৪ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন।


বিজ্ঞাপন


রিটে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে সি ই এন (ডি)-২৭ এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত বাড়ি হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী বাড়িটি দখল করে বসবাস করছেন।

আবেদনে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ও চলতি বছরের ৪ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে দেওয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি চিঠি যুক্ত করেছেন।

পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে বাড়িটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও আব্দুস সালাম মুর্শেদী কীভাবে বাড়িটি দখল করে আছেন, ২০১৫ ও ১৬ সালে দেওয়া চিঠিতে রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে এ ব্যাখ্যা চায় পূর্ত মন্ত্রণালয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে চিঠি আমলে না নেওয়ায় চলতি বছর ৪ জুলাই রাজউক চেয়ারম্যানকে ফের চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে বাড়িটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও কীভাবে রাজউক চেয়ারম্যানের দফতর থেকে বাড়িটির নামজারি ও দলিল করার অনুমতি দেওয়া হলো, এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হলেও রাজউক চেয়ারম্যান সে ব্যাখ্যা দিতে অনীহা দেখিয়েছেন। পরে রিট করেছেন ব্যারিস্টার সুমন। ওদিনই রিটের শুনানি করে ১ নভেম্বর রুল জারি করেন আদালত। সেই রুল প্রসঙ্গে আজ শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা ছিল।

এআইএম/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর