শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘বিনা বিচারে কারাগারে থাকা বিচার বিভাগের দুর্বলতা’

আমিনুল ইসলাম মল্লিক
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৩৭ এএম

শেয়ার করুন:

‘বিনা বিচারে কারাগারে থাকা বিচার বিভাগের দুর্বলতা’

বিচার বিভাগের দুর্বলতা ও আইনের শাসনের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিচারপ্রার্থীরা। আর সেই ক্ষতির যথাযথ প্রতিকারের ব্যবস্থাও নেই প্রচলিত আইনে।

আইনজ্ঞ ও মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এ সমস্যার মূল কারণ- বিচার বিভাগের অবকাঠামো, উপকরণ ও জনবল সংকট। আবার কেউ কেউ বলছেন কারণে অকারণে মামলা করার প্রবণতা।


বিজ্ঞাপন


জানতে চাইলে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মনজিল মোরসেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, ফৌজদারি আইনের মূল স্পিরিট হচ্ছে বিনা অপরাধে কেউ একদিনও জেল খাটবে না। আর এটি নিশ্চিত করতে হলে মামলা জট কমানোর বিকল্প নেই। লাখ লাখ মামলা জটের কারণেই অনেক সময় নিতে হচ্ছে মামলা নিষ্পত্তিতে।

তিনি আরও বলেন, একজন নিরপরাধ ব্যক্তি একদিনের জন্যও কারাগারে থাকতে পারেন না। অনেক সময় দেখা যায়, কোনো দোষ না করেই বছরের পর বছর জেল খাটছেন নিরীহ মানুষ। তার জন্য আইনে সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষতিপূরণের কোনো ব্যবস্থা নেই। এটি বিচার বিভাগের দুর্বলতা, আইনের শাসনের অভাব।

এই মানবাধিকার কর্মীর পরামর্শ, বিনাদোষে কাউকে যেন কারাগারে না থাকতে হয়, এজন্য বিচার বিভাগের দুর্বলতা রোধ করতে হবে, নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। বিচারক সংকট দূর করার পাশাপাশি আদালত সংখ্যা বাড়ানো জরুরি।

জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ঢাকা মেইলকে বলেন, বিনা বিচারে কারাগারে থাকার বিষয়টি হচ্ছে আমাদের বিচার বিভাগের দুর্বলতা। একজন মানুষ কোনোমতেই অপরাধ না করে এক মিনিটও কারাগারে থাকতে পারেন না। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।


বিজ্ঞাপন


এদিকে বিনা বিচারে বছরের পর বছর কারাগারে থাকার মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। এ বিষয়ে জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে রিপোর্টও হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা দৃশ্যমান হলো দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে।

গত ১৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) জানা গেল, দীর্ঘ ১৮ বছর পর আপিল বিভাগ থেকে খালাস পেলেন মাগুরার ইলতুৎমিস হত্যা মামলার আসামি শামিম। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ ওইদিন এ রায় দেন। এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, মৃত্যুকালীন জবানবন্দির সঙ্গে সাক্ষীদের জবানবন্দির মিল নেই। এজন্য শামিমকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০০ সালের ২৬ মে মাগুরায় ছুরিকাঘাতে খুন হন ৩৫ বছরের ইলতুতমিস মোল্লা। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০০৯ সালে শামীমসহ ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত।

পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১৯ নভেম্বর দু’জনকে খালাস দেয় হাইকোর্ট। সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেয়া হয় শামীমকে। যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া শামিমকেও বৃহস্পতিবার খালাস দিলেন আপিল বিভাগ।

এআই/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর