শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

পাঁচজনের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ১১ নভেম্বর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

পাঁচজনের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ১১ নভেম্বর
ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ১১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (২ অক্টোবর) এ বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।


বিজ্ঞাপন


এ দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন। এছাড়া আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও গাজী এম এইচ তামিম।

আলোচিত এই মামলায় আট আসামির মধ্যে ছয়জন গ্রেফতার হয়েছিলেন। এরমধ্যে মামলা চলাকালে তিনজন মারা গেছেন। বর্তমানে তিনজন এখনও কারাগারে আছেন। এছাড়া বাকি দুইজন আসামি এখনও পলাতক। এরমধ্যে গ্রেফতাররা হলেন- মো. হরমুজ আলী (৭৩),  মো. আব্দুস সাত্তার (৬১) ও খন্দকার গোলাম রব্বানী (৬৩)। আর পলাতকরা হলেন- ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ (৬৯) ও মো. ফখরুজ্জামান (৬১)।

২০১৫ সালের ১৯ মে ময়মনসিংহের ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন আলোচিত এ মামলা করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন শান্তি কমিটির ময়মনসিংহ শহর শাখার আহ্বায়ক এম এ হান্নানের নির্দেশে রাজাকার কমান্ডার আনিসুর রহমান মানিক ও সামসুল হক বাচ্চুসহ পাক হানাদার বাহিনী এবং এর দোসররা ত্রিশালের কালির বাজার ও কানিহারী এলাকায় শতাধিক গণহত্যা, কয়েক কোটি টাকার সম্পদ লুণ্ঠন, ধর্ষণ, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগ করেন। 

পরে ওই বছরের ২৮ জুলাই তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তা শেষ করে তদন্ত সংস্থা। পরে ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক এজাহারটি গ্রহণ করে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।


বিজ্ঞাপন


এদিকে, ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করলে ওইদিনই এমপি হান্নানকে গুলশানে তার বাড়ি থেকে এবং ছেলে রফিক সাজ্জাদকে ওই এলাকার একটি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়।

অন্যদিকে, একই অভিযোগে ময়মনসিংহ ৭ (ত্রিশাল) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আনিছুর রহমান (৭০) এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান এমপি এম. এ হান্নানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে লুণ্ঠন ও ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নি-সংযোগের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের অপর একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ৩ নম্বর আমলি আদালতে বিচারক মিটফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর মামলায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ হান্নান ও তার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন (ফরমাল চার্জ) করেন ট্রাইব্যুনাল।

এ বিষয়ে প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন জানিয়েছেন, আলোচিত এ মামলায় মোট আটজন আসামির মধ্যে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আসামিদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া তিনজন মারা গেছেন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এম এ আব্দুল হান্নান, তার ছেলে মো. রফিক সাজ্জাদ (৬২) ও মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩)।

এআইএম/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর