বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিএনপির দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর আগাম জামিন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর ২০২২, ০২:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

বিএনপির দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর আগাম জামিন

পুলিশের সঙ্গে সংষর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদসহ দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ছয় সপ্তাহ তারা জামিনে থাকবেন। এই সময়ের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে

রোববার (২ অক্টোবর) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।


বিজ্ঞাপন


আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব মো. ফজলুর রহমান ও অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন।

কামাল হোসেন আদেশের বিষটি ঢাকা মেইলকে জানান।

এর আগে গত সপ্তাহে এই মামলায় অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন আবেদনগুলো হাইকোর্টে দায়ের করেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা হয়। মামলা দুটিতে ১৭৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মী ও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আছেন। দুটি মামলায় ২৬ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।


বিজ্ঞাপন


মুক্তারপুরে শ্রমিক লীগের কার্যালয় ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারধর করে গুরুতর জখম করার অভিযোগে মামলা করেন মুক্তারপুর বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও শ্রমিক লীগের নেতা আবদুল মালেক। এ মামলায় সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। 

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের কারণে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় সদর উপজেলার মুক্তারপুরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকা। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন বিকেলে মুক্তারপুরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচি থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগোতে চাইলে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধা দেয়। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। পুলিশও রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে। উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার পাশাপাশি ইটপাটকেলের আঘাতে দুজন সংবাদকর্মী আহত হন।

এই সংঘর্ষের ঘটনায় মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজ উল ইসলাম ও মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুজ্জামান, এসআই মাইনউদ্দিন, এসআই সুকান্ত, এসআই আমিনুল, এসআই অজিদ আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

এআইএম/জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর