সিলেটের মাটিতে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি বলেন, আমার গর্ব আমি সিলেটের পুণ্যভূমিতে জন্ম নিয়েছি।
রোববার (২ অক্টোবর) তিনি তার ফেসবুক পেজে আপলোড করা একটি ভিডিওতে একথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষ। কিন্তু ১১ জন খেলোয়াড়ের অভাবে ফুটবল খেলতে পারি না বিশ্বকাপে। আমি বলি ফুটবলারের অভাবে ফুটবল মরে নাই। ফুটবল মরেছে সৎ লোকের অভাবে। ফুটবল যারা চালায় তাদের মধ্যে সৎ লোক দরকার।
তিনি বলেন, আমি তো বলছি যে ছেলেগুলো এখানে খেলছে তাদেরকে দেন, দেখবেন জেলা দলের মধ্যে এদেরকে দুইজনের নাম রাখব। একমাত্র বাংলাদেশেই পাবেন ছেলেদেরকে যদি যত্ন করেন তাহলে রত্ন পাবেন। যাদেরকে ডাকেন নাই, তাদেরকে কখনোই ভাবেন নাই। এই মেয়েরা খেলতে গেছে ময়মনসিংহের মেয়ে, চিটাগংয়ের মেয়ে কেউ তাদেরকে চিনেই না। এরা এতো ভালো খেলে যে এরা পাকিস্তান ও ভারতের মেয়েদের হিসাবেই রাখে নাই। এদেরকে ৮টা থেকে ১০টা করে গোল দিয়েছে। এরা নেপালকে গোল দিয়েছে।
মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করা এ আইনজীবী বলেন, তারা বলে মেয়েরো পেরেছে ছেলেরা পারে না কেন? আমি বলছি মেয়েদের উপর চোরের চোখ পড়ে নাই। মেয়েরা যদি নজরে পড়ে যায়, আমি বলি বিভিন্ন লোকেরা মেয়েদের টাকা দিচ্ছে। আমার বুকের মধ্যে কাপন ধরতেছে আল্লাহ জানে কার টাকা কে দিচ্ছে। যদি এই টাকা ফুটবল ফেডারেশনের অ্যাকাউন্ডে যায়, আপনি লিখে রাখেন মেয়েরা সব টাকা পাবে না।
তিনি আরও বলেন, এই সিলেটে জাতীয় দলে খেলার জন্য ২ থেকে ৩ জন খেলোয়াড় আছে। জাতীয় দলের খেলার মতো ভালো খেলোয়াড়ের অভাব নাই সিলেটে।
সুমন বলেন, আমি জানি না আমার রক্তের মধ্যে শাহজালালের রক্ত আছে কি না। তবে আমি মনে করি শাহজালালের আদর্শের উত্তরাধিকার আছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকার হিসেবে আমি বলে যাই, আমি সিলেটি পোলা হিসেবে যতদিন বেঁচে থাকবো ফুটবল নিয়ে চুরি সহ্য করব না। আমার প্রথম প্রেম ফুটবল, আজকে ফুটবল থাকলে ছেলেরা এতো নষ্ট হতো না।
বিজ্ঞাপন
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আপনারা জানেন দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত ফুটবলের নেতৃত্বে থাকা সবাই লুটেপুটে খাচ্ছে। মানুষের ন্যূনতম লজ্জা থাকলে এরা এখান থেকে পদত্যাগ করত। সিলেটের মানুষের মধ্যে লজ্জা আছে। প্রধান অতিথি হওয়ার জন্য আসি নাই।
বিশ্বাস ও সততার সাথে মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি, সিলেটে যে বন্যা হয়েছে সেই বন্যায় সহযোগিতার জন্য আমার ঘোষণায় তিন রাতের মধ্যে ৩ কোটি টাকা মানুষ আমার অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে। যদি বিশ্বাস থাকে, শুধু সিলেটি হিসেবে নয়, শাহজালালের উত্তরসূরী হিসেবে নয় যদি যোগ্যতা থাকে তাহলে বাংলাদেশের জন্য নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত হোন। অনেকে বলেন টাকা পয়সার অভাব, টাকা পয়সার অভাব নাই। অভাব হলো বিশ্বাসের।
সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী বলেন, আমি একা হবিগেঞ্জে ৪১টি ব্রিজ বানিয়েছি। ওখানে যান গিয়ে দেখেন কি করেছি। আপনারা পড়াশোনা করুন, আজকে ব্যারিস্টার হওয়ার কারণে এগুলো করতে পারছি। আপনারাও পড়াশোনা করুন। অনেক কিছু করতে পারবেন। অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক কাজ করেছি। আমি বালিশকাণ্ডে মামলা করেছি, নুসরাতের জন্য নোয়াখালির ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। রায় পেয়েছি, সেই ওসি এখন জেল জীবন পার করছে। শুনলাম সে জেলে ইমাম সাহেবের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি তো তারে ভালো পথে আসতে সহযোগিতা করেছি। আমার অহংকারের জায়গা এইটা না যে আমি অনেক বড় এমপি মন্ত্রী হব। আমার অহংকারের জায়গা হলো আল্লাহ আমাকে সিলেটের মতো পূণ্যভূমিতে জন্ম দিয়েছে। আপনারা নিজেদের প্রতি বিশ্বাস রাখুন দেখুন অনেক দূর যাবেন।
এআইএম/এএস

