শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

অপ্রয়োজনীয় সিজার নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:২৮ এএম

শেয়ার করুন:

অপ্রয়োজনীয় সিজার নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

২০১৮ সালে ৮ লাখ ৬০ হাজার সিজার (পেট কেটে বাচ্চা বের করা) অপ্রয়োজনীয় ছিল। সেভ দ্যা চিলড্রেনের এমন এক প্রতিবেদন দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি বলেন, ওই বছরে যতগুলো সিজার করা হয়েছে তারমধ্যে প্রতি ১০ জনের ৬ জনের সিজার করার প্রয়োজন ছিল না। তারপরেও ডাক্তাররা সিজার করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ফেসবুক পেজে লাইভে এসে ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, একটি সিজার করতে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। সামান্য সমস্যা হলে ডাক্তাররা বলেন, মায়ের পেটের পানি কমে গেছে, সমস্যা হচ্ছে। আমার বাচ্চার ক্ষেত্রে আমি এটি দেখেছি। আমি বাবা হিসেবে চিন্তা করেছি বাচ্চা বের করার জন্য পেট কাটা লাগলে কেটে বের করা হোক। কারণ আমি তো বাবা। ডাক্তাররা আর ওয়েট করতে চান না। তারা চিন্তা করেন সিজার করলে তো আমি ২০ হাজার টাকা পাচ্ছি। 


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, ডাক্তারদের টেনডেনসি এমনই। বাংলাদেশে কিছু প্যাথলজি গড়ে উঠেছে এদের কাছে রোগী নিয়ে গেলে অপেক্ষা না করেই সিজারের জন্য পরামর্শ দেন। এতে করে আমাদের নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। যাকে সিজার করা হচ্ছে, সে ভারী কোনো কাজ করতে পারছে না। ওই পরিবারের খরচও হচ্ছে অনেক।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে এটা অপ্রয়োজনীয় ছিল। এরপর ২০১৯-২০ সালে সিজারের পরিমাণ অনেক কমে গেছে। হাসপাতালে রোগী আসলেই কর্তৃপক্ষ মাছের জাল দিয়ে এদেরকে ধরে ফেলে। ৮ লাখ ৬০ হাজার কাগজে কলমে, বাস্তবে তো আরো অনেক সিজার করা হয়েছে। যেগুলোর কোনো হিসাব নেই। সরকার কি অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধের উদ্যোগ নিবে না? তাদেরকে দেখে কি সরকার ভয় পায়? নাকি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ভয় পান? আপনি অনেক কাজেই ব্যর্থ। আবার প্রধানমন্ত্রীর কারণে অনেক সফল হয়েছেন। বিদায় নেওয়ার আগে অন্তত সিজার করার বিষয়ে একটা কিছু করে যান।

উল্লেখ্য, জনস্বার্থে কাজ করতে গিয়ে ব্যারিস্টার সুমন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুলের প্রসিকিউটরের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। কাজ করছেন হাজারো অসঙ্গতি নিয়ে। সিলেট সুমানগঞ্জের বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে সুমনের মানবিক কাজগুলো অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি এ দুর্যোগকে কেন্দ্র করে নগদ অর্থ ও ৬ পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন সবার সহযোগিতা নিয়ে।

এআইএম/এমএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর