শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সাভারে নীলা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল 

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

সাভারে নীলা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল 

সাভারে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নীলা রায় নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান চৌধুরীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
 
ঢাকার ভারপ্রাপ্ত পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহানের আদালত এ দিন ধার্য করেন। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি জানিয়েছেন।

এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন, মিজানের সহযোগী সেলিম পাহলান ও সাকিব হোসেন।


বিজ্ঞাপন


২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) নির্মল কুমার দাস ১৩ জনকে সাক্ষী করে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তবে এ মামলায় মিজানুরের বাবা আব্দুর রহমান এবং মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করে পুলিশ। এরপর গত ৩ আগস্ট আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

২০২০ সালের গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সাভারে পৌরসভার উলাইল এলাকা থেকে মিজানুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তার কাছে থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। তার পরদিন ২৬ সেপ্টেম্বর আদালত আসামি মিজানুর রহমানের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর রিমান্ড চলাকালীন মিজানুর স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার এসআই নির্মল চন্দ্র ঘোষ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে মিজানুর কারাগারে আটক রয়েছে। তবে অপর দুই আসামি সেলিম ও সাকিব জামিনে রয়েছে।
 
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে নীলা রায় ও তার ভাই অলক রায়ের পথরোধ করে বখাটে মিজানুর রহমান। পরে তার ভাইয়ের কাছ থেকে নীলাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে নিকটস্থ তার নিজ পরিত্যক্ত বাড়ির একটি কক্ষে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে রাতে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নীলাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর নীলার বাবা নারায়ণ রায় সাভার মডেল থানায় মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় মিজানুর রহমানকে। এছাড়া তার বাবা আব্দুর রহমান এবং মা নাজমুন নাহারসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

টিএ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর