শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ১১ আসামির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ৩ নভেম্বর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ১১ আসামির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ৩ নভেম্বর

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাগেরহাটের কচুয়া ও মোড়লগঞ্জের খান আশরাফসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের (আর্গুমেন্ট) জন্য আগামী ৩ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম।


বিজ্ঞাপন


বিষয়টি ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। তিনি জানান, মামলায় ১১ জন আসামির মধ্যে চারজন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। বাকি সাতজন পলাতক।

মামলায় ১৪ আসামির মধ্যে পাঁচজন কারাগারে। তারা হলেন- খান আকরাম হোসেন (৬০), শেখ মোহম্মদ উকিল উদ্দিন (৬২), ইদ্রিস আলী মোল্লা (৬৪), মো. মকবুল মোল্লা (৭৯) ও মো. আব্দুল আলী মোল্লা (৬৫)।

মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার আগেই তাদের মধ্যে একজন আসামি মারা গেছেন।

তখন পলাতক ছিলেন দশ আসামি- খাঁন আশরাফ আলী (৬৫), সুলতান আলী খাঁন (৬৮), মকছেদ আলী দিদার (৮৩), শেখ ইদ্রিস আলী (৬১), শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল (৬৪), রুস্তম আলী মোল্লা (৭০), মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদার (৬৯), মো. হাশেম আলী শেখ (৭৯) ও মো. আজাহার আলী শিকদার (৬৪)। ওই পলাতক আসামিদের মধ্যে থেকেও আরও তিনজন আসামির মৃত্যু হওয়ায় এখন মামলার পলাতক আসামির সংখ্যা সাতজন। পলাতক ও গ্রেফতার মিলিয়ে এখন মামলায় মোট আসামি ১১ জন।


বিজ্ঞাপন


আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে আইনজীবী ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী। অপরদিকে কারাগারে থাকা চার আসামির পক্ষে শুনানি করেন  আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী এমএইচ তামিম।

এর আগে ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এর পরে ২৮ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হয়। ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর কারাগারে থাকা পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে থেকে একজন মারা যান। আর পলাতক আরও তিনজনসহ মোট চার আসামি মারা গেছেন।

আসামিরা সকলেই মুসলিম লীগ ও পরে জামায়াতের সমর্থক হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এআইএম/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর